সন্ত্রাসী হামলায় সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউপি কার্যালয় বন্ধ ঘোষণার এক দিনের মাথায় চালু

সন্ত্রাসী হামলায় সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউপি কার্যালয় বন্ধ ঘোষণার এক দিনের মাথায় চালু
সন্ত্রাসী হামলায় সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউপি কার্যালয় বন্ধ ঘোষণার এক দিনের মাথায় চালু

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সেবা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার এক দিনের মাথায় আবারও চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সেবা কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হামলা ও এক সেবাপ্রত্যাশীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য সেবা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

রেহান উদ্দিনের বলেন, দোষী ব্যক্তিদের বিচারে প্রশাসনের আশ্বাস পেয়ে এবং জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে তিনি সেবা কার্যক্রম পুনরায় চালুর ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি হামলা চালিয়ে সাইফুদ্দিন অভি নামের এক সেবাপ্রত্যাশীকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় চেয়ারম্যান বাধা দিলে তাঁকেও হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামকে দায়ী করেন রেহান উদ্দিন। তিনি এ ঘটনায় সাইদুল ইসলামকে হুকুমের আসামি করে মোট আটজনের নামে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা করেছেন। ঘটনার পরপরই পরিষদ এলাকা থেকে পুলিশ ওই সেবাপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে। রেহান উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

রেহান উদ্দিন বলেন, গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাঁর কক্ষে সাইফুদ্দিন অভি নামের এক সেবাপ্রত্যাশী যুবক তাঁর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একদল সন্ত্রাসী তাঁর কক্ষে ঢুকে সাইফুদ্দিনকে বেদম মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি বাধা দিল সন্ত্রাসীরা তাঁকেও হুমকি দেয়। সন্ত্রাসীরা সাইদুল ইসলামের নির্দেশে কাজ করেছে বলেও জানায়।

রেহান উদ্দিন আরও বলেন, ইউপি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় তিনি হতভম্ব ও শঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ কারণে নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ফেসবুক লাইভে এসে সেবা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দেন। ঘটনার পরপরই তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হোসেন, সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের একটি দল পরিষদ এলাকা থেকে সাইফুদ্দিনকে উদ্ধার করে। পরে ইউএনও ও ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান লাইভে আসার কিছুক্ষণ পরে লাইভে এসে অভিযোগ অস্বীকার করেন সাইদুল ইসলাম। তিনি ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। তখন তিনি বলেন, সাইফুদ্দিন একজন ইয়াবা ব্যবসায়ী। চেয়ারম্যান তাঁর গাড়িতে ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে নিয়ে ঘোরাঘুরি করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাইদুল ইসলামকে হুকুমদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিষদের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তারপর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউএনও শাহাদাত হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের মতো একটা জায়গায় হামলা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন। দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানান তিনি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;