সীতাকুণ্ডে পৃথক ঘটনায় দুইদিনে ৮ লাশ উদ্ধার

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ডে সিএনজি চালককে কুপিয়ে হত্যা, পরকীয়ার জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা ও মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যাসহ পৃথক ঘটনায় ৮ জনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। শনিবার থেকে রোববার রাত পর্যন্ত গত দুইদিনে এসব লাশ উদ্ধার করা হয়।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার দুপুর ১২টায় সীতাকুণ্ড উপজেলা বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের উত্তর নডালিয়া গ্রামের প্রবাসী মো. আলমগীরের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী তাসলিমা আক্তার (২৯) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাসলিমার পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তিনি লজ্জায় আত্মহত্যা করেন।

রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সিএনজি চালক একরাম (২০)কে ফকিরহাট উত্তর বাজারে তার সিএনজি থাকা একদল ছিনতাইকারী কুপিয়ে হত্যা করে সিএনজি অটোরিকশাটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নিহত সিএনজি চালক বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নতুন পাড়ার নূরুল আফসারের পুত্র। 

রোববার সকালে কুমিরা ইসলামিয়া আরবিয়া মাদ্রাসা যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় রাশেদের পুত্র মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুল্লাহ নিশান (১৪) নিহত হয়। 

অপরদিকে গত শনিবার রাতে পৌরসভায় এলাকার মুক্তিযোদ্ধার ছেলে খুরশেদ আলমকে তুচ্ছ তর্কাতর্কিকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মাদক সেবী আরাফাত ধারালো বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নে রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারী (৪০) নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার সময় উপজেলার কদমরসুল এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় অসাবধানতাবশত রেললাইনে পা আটকে ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল হাকিম (৫৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের সাগর উপকুলে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা অজ্ঞাত এক যুবকের (৪০) লাশ কুমিরা নৌ পুলিশ উদ্ধার করে। একই দিন রাত সাড়ে সাতটার সময় উপজেলার পন্থিছিলা এলাকায় সিএনজি থেকে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে সুমন সাহা (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত ) সুমন বণিক জানান, মুক্তিযোদ্ধার ছেলের হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নড়ালিয়া গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়া প্রেমের ঘটনায় পরিবারের লোক জেনে যাওয়া কারণে মানসম্মানের ভয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তাসলিমা আক্তার।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;