মায়ের সহযোগিতায় সীতাকুণ্ডে মেয়েকে ধর্ষণ, আটক ২

মায়ের সহযোগিতায় সীতাকুণ্ডে মেয়েকে ধর্ষণ, আটক ২
মায়ের সহযোগিতায় সীতাকুণ্ডে মেয়েকে ধর্ষণ, আটক ২

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

মায়ের সহযোগিতায় সীতাকুণ্ডে এক শিশু কন্যাকে (১০) বারবার ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। সর্বশেষ শনিবার গভীর রাতে মেয়েটিকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসী ধর্ষক ও মা’কে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। 

রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর ভাবী।

আটক মায়ের নাম মাসুদা খাতুন (৫০)। তিনি নোয়াখালী সদর থানার মধ্যম চরুলিয়া গ্রামের মৃত জাকের হোসেন প্রকাশ আবু জাকেরের স্ত্রী। আর ওই বখাটে হলেন ডেকারেশন কর্মী মো. ইব্রাহিম (৩২)। সে বাঁশবাড়িয়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াছের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায় , সীতাকুণ্ডে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হাসনাবাদ এলাকার আমজাদ আলী সেরাং বাড়ির ফাতেমা বেগমের ভাড়াটি মাসুদা খাতুনের সাথে কিছুদিন পূর্বে পরিচয় হয় ইব্রাহিমের। পরিচয় সূত্রে মাসুদাকে খালা ডেকে ইব্রাহিম প্রায়ই তার বাড়িতে রাত্রি যাপন করত এবং মাসুদাকে টাকা পয়সা দিতো। এতে মাসুদা তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ার সুযোগে সে রাত্রিযাপনকালে তার ১০ বছর বয়সী মেয়েকে বারবার ধর্ষণ করতে থাকে। এতে মেয়েটি প্রচণ্ড ব্যাথা ও রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে মাকে ধর্ষণের কথা জানালেও মা তাকে চুপ থাকতে ভয়ভীতি দেখাত। এক পর্যায়ে ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি মেয়েটি ইব্রাহিম কর্তৃক নিজ ঘরেই বারবার ধর্ষিত হবার কথা তার ভাবী লাইলী বেগম (২২)সহ প্রতিবেশীদের জানালে তারা ইব্রাহিমকে ধরতে অপেক্ষা করতে থাকে। এক পর্যায়ে শনিবার রাতে ইব্রাহিম ঐ বাড়িতে আসলে প্রতিবেশিরা মেয়েটির মা ও ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, আপন মায়ের সহযোগিতায় তার শিশু কন্যাকে এক পাষণ্ড নিজ ঘরেই বারবার ধর্ষণ করেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে ভুক্তভোগী মেয়েটি নিজে। সে জানিয়েছে ধর্ষণের এসব কথা বারবার মেয়েটি তার মাকে জানালেও তার মা উল্টো তাকে ভয় ভীতি দেখিয়েছে কাউকে না বলার জন্য। তাই মেয়েটি অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন বারংবার ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাবী লায়লী বেগম বাদী হয়ে তার মা ও ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;