চট্টগ্রামের জয় দিয়ে শুরু বঙ্গবন্ধু বিপিএলে

চট্টগ্রামের জয় দিয়ে শুরু বঙ্গবন্ধু বিপিএলে
বঙ্গবন্ধু বিপিএল চট্টগ্রামের জয় দিয়ে শুরু

পোস্টকার্ড (ক্রীড়া ) ডেস্ক ।।

বঙ্গবন্ধু বিপিএল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ থেকে শুরু হয়েছে । মাঠে খেলা গড়ানোর আগে গত ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’এর উদ্বোধন করেছেন। দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এই আসরে জয় দিয়ে শুরু করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিলো না চট্টগ্রামের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শেষ দুই বলে ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং নাসির হোসেনকে তুলে নেন নাজমুল ইসলাম অপু।  দারুণ খেলতে থাকা আভিশকা ফার্নান্ডোকে ৩৩ রানে বিদায় করেন সান্তকি। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে ব্যর্ত নাসির এদিনও নিজেকে ফিরে ফেলেন না। তবে ছন্দে ছিলো জাতীয় দলের আরেক ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। চাপে পড়া দলকে একপাশ আগলে  এগিয়ে নেন। এবাদতের বলে সান্তকির হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩৮ বলে ৬১ রান করেন ইমরুল। শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান চাদউইক ওয়ালটন।

এর আগে মিরপুর শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রামের অধিনায়ক রিয়াদ এমরিত। ব্যাট করতে নেমে লড়াকু সংগ্রহই দাঁড় করায় সিলেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান সংগ্রহ করে তারা।

যদিও দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার রনি তালুকদারকে তুলে নেন রুবেল হোসেন। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন জনসন চার্লস। মিঠুন ধীর গতিতে খেললেও চার্লস ছিলেন বিস্ফোরক। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি চার্লস। ৩৫ রানে চার্লসের বিদায়ের পর জীবন বেন্ডিসও ফিরে যান দ্রুতই।

এরপর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে জুটি গড়েন মিঠুন। ধীরে শুরু করা মোসাদ্দেক শেষ পর্যন্ত খোলস ছেড়ে সেভাবে বের হতে পারেননি। শেষ ওভারে রুবেলের বলে এমরিতের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি। অন্যদিকে শুরুতে ওয়ানডে মেজাজে খেলা মিঠুন ইনিংসের মাঝামাঝি থেকে হাত খুলতে থাকেন। শেষ দিকে কার্যকরি ব্যাটিং করে ৪৮ বলে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন মিঠুন।

বল হাতে ৪ ওভারে ২৭ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন রুবেল হোসেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন নাসুম আহমেদ এবং রিয়াদ এমরিত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট থান্ডার: ১৬২/৪ (২০ ওভারে, মিঠুন ৮০*, জনসন ৩৫, মোসাদ্দেক ২৯, রুবেল হোসেন ২/২৭)।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৬৩/৫ (১৯ ওভারে, ইমরুল ৬১, আবিস্কা ফার্নান্দো ৩৩, ওয়ালটন ৪৯*, নাজমুল ইসলাম ২/২৩)।

ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: ইমরুল কায়েস।