পুড়ে গেছে বান্দরবানের পূরবী বার্মিজ মার্কেট

পুড়ে গেছে বান্দরবানের পূরবী বার্মিজ মার্কেট

বান্দরবান প্রতিনিধি ।।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বান্দরবানের পূরবী বার্মিজ মার্কেট সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে প্রায় চার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

আজ শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকাল চারটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, বান্দরবান বাজারের পূরবী বার্মিজ মার্কেটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে মার্কেটের একটি ওষুধের দোকান সহ বার্মিজ ও স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ী পোষাকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের ২৪টি দোকান।আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী মাস্টার বার্মিজ মাকের্ট এবং আশপাশের বেশকিছু ঘরবাড়ি।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং স্থানীয় জনতা দীর্ঘ দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী পার্শ্ববর্তী মার্কেটের সত্ত্বাধিকারী জলিমং মারমা বলেন, “পূরবী মার্কেটের পশ্চিম পাশের কোনো দোকান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে মার্কেটের সবগুলো দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী আমাদের মাস্টার মার্কেটেরও বেশকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী সহ প্রশাসন, কাউন্সিলর দিলীপ বড়ুয়া সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসনের উধর্বতন কর্মকর্তারা।

পূরবী মার্কেটের সত্ত্বাধিকারী রাজেস্বর দাস বলেন, “আগুনের খবর পেয়ে ছুটে এসে দেখি সম্পূর্ণ মার্কেটটি পুড়ে গেছে। মার্কেটে ২৪টি বিভিন্ন পণ্যের দোকান ছিল। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।” ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার মোহাম্মদ মিলন বলেন, “মার্কেটে আমাদের টেক্সটাইল পোষাকের দু’টি দোকান ছিল। মুহূর্তে আগুন মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ায় দোকানের কোনো মালামালই বের করতে পারিনি। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মার্কেটের সবগুলো দোকান বন্ধ ছিল।”

পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী বলেন, “অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি একটি দুর্ঘটনা। আগুনে মার্কেটের ২৪টি দোকানই পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক সহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।”

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাকরিয়া হায়দার জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের কর্মীরা স্থানীয় সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় দু’ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই মুহূর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব নয়।