সীতকুণ্ডে ঋণের টাকা পরিশোধে এনজিওর চাপ, গৃহবধূর আত্মহত্যা

সীতকুণ্ডে ঋণের টাকা পরিশোধে এনজিওর চাপ, গৃহবধূর আত্মহত্যা
সীতকুণ্ডে ঋণের টাকা পরিশোধে এনজিওর চাপ, গৃহবধূর আত্মহত্যা

পোস্টকার্ড নিউজ ।। 

সীতকুণ্ডে ঋণের টাকা পরিশোধে এনজিওর চাপে মুখে অপমানে কীটনাশক পানের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদা আক্তার (৩৮) নামের এক মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত গৃহবধূ সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেদারখীল এলাকার সিএনজি চালিত অটোরিকশাচালক ইকবাল হোসেনের স্ত্রী।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ঋণের টাকা পরিশোধ করতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিওর) চাপ ও অপমান সইতে না পেরে তিনি কীটনাশক পান করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নাহিদার স্বামী ইকবাল বেশ কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকার কিস্তি দিয়ে ঋণের অর্ধেক টাকাও পরিশোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু মাস ছয়েক আগে হঠাৎ সিএনজি চালানো বন্ধ করে দেন ইকবাল। এরপর ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে সমস্যা শুরু হয়।

এনজিওর কর্মীরা ঋণ আদায়ের জন্য প্রায় প্রতিদিন তাঁদের ঘরে আসত। ইকবালকে না পেলে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য তাঁরা নাহিদাকে চাপ দিত। এসব বিষয় নিয়ে প্রায়ই পারিবারিক অশান্তি লেগে থাকত। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঋণের টাকা আদায় করতে এনজিও কর্মীরা তাঁদের বাড়ি আসে। এ সময় ঘরে ইকবাল হোসেনকে না পেয়ে কিস্তি পরিশোধে স্ত্রী নাহিদা আক্তারকে চাপ দেন। এনজিও কর্মীদের চাপ সইতে না পেরে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন নাহিদা। এর পর নাহিদাকে স্বজনেরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

নাহিদার ভাই সায়েদ হোসেন বলেন, ‘আমার বোনের স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বেকার। ঋণের টাকায় তাঁদের সংসার চলত। ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। তবে কী কারণে বোন আত্মহত্যা করেছে সেটি এখনো জানতে পারিনি। আজ দুপুরে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার পর প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ নিয়ে জানতে চাইলে বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, তিনি এখনো বিষয়টি জানেন না। তবে ওই গৃহবধূর স্বজনেরা মামলা করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;