গাড়িচালক জনি হত্যায় এসআই জাহিদসহ ৩ পুলিশের যাবজ্জীবন

গাড়িচালক জনি হত্যায় এসআই জাহিদসহ ৩ পুলিশের যাবজ্জীবন

পোস্টকার্ড আদালত ডেস্ক ।।

পল্লবী থানায় গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনিকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় এসআই জাহিদসহ ৩ পুলিশের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দুই সোর্সের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৩ সালে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়নের ৭ বছরের মাথায় এই আইনে প্রথম কোনো মামলার রায় হলো। জনির পরিবার ও রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে ৫ আসামির সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছিলেন।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পল্লবী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান জাহিদ, এএসআই রাশেদুল ও কামরুজ্জামান মিন্টু।

এছাড়া সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় পুলিশের সোর্স সুমন ও রাশেদকে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মিরপুর-১১ নম্বর সেক্টরে ইরানি ক্যাম্পে বিল্লাল নামে এক ব্যক্তির গায়েহলুদ অনুষ্ঠান গিয়েছিলেন জনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পুলিশের সোর্স সুমন মাতাল অবস্থায় ওই অনুষ্ঠানে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করলে জনি তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। তখন ঝগড়ার একপর্যায়ে জনি চড় মারলে সুমন ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়ে চলে যান।

আধা ঘণ্টা পর এসআই জাহিদসহ কয়েকজন পুলিশ এসে ওই অনুষ্ঠান থেকে জনিকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর নির্যাতন চলে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, জনিকে পল্লবী থানার হাজতে নিয়ে এসআই জাহিদসহ অন্য আসামিরা হকিস্টিক, ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করে এবং জনির বুকের ওপর উঠে লাফায়। জনি পানি চাইলে জাহিদ তার মুখে থুতু ছিটিয়ে দেন।

নির্যাতনে জনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে তাকে ঢাকা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, আগেই মৃত্যু হয়েছে জনির।

জনির ভাই ইমতিয়াজ হোসেন রকি ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে নির্যাতন ও পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে এই মামলা করলে বিচারক এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।