সড়কের পাশে ট্রাফিক পুলিশ বক্স আনোয়ারার চৌমুহনীতে,যানজটে দূর্ভোগ তিন উপজেলার যাত্রীদের

সড়কের পাশে ট্রাফিক পুলিশ বক্স আনোয়ারার চৌমুহনীতে,যানজটে দূর্ভোগ তিন উপজেলার যাত্রীদের

আনোয়ারা প্রতিনিধি।।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ব্যাস্ততম সড়ক চাতরী চৌমুহনী এলাকার প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জোড়ে যানজট নিত্যদিনে লেগেই থাকে। প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনে এ যানজট বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণে। এতে করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, কক্সবাজার জেলার পেকুয়া, চকরিয়ার লাখো মানুষের প্রতিদিন দূর্ভোগের শেষ নেই । যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের সড়ক দখল করাকেই দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়,চাতরী চৌমহনী বাজারের সিইউএফল সড়ক ও পিএবি সড়কের দুই পাশ দখল করে অবৈধ ভাবে সিএনজি স্টেশন ও ভাসমান দোকান বসিয়ে সড়কের দুই তৃতীয়াংশ দখল করে আছে। স্থানীয়রা জানান এসব দোকান ও সিএজি অটোরিক্সার ড্রাইভারেরা ট্রাফিক পুলিশকে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে থাকে। সকাল ও সন্ধ্যায় কেইপিজেডের শ্রমিক বহনকারী শতশত গাড়ি আসা-যাওয়ার সময় এ যানজট তিব্র আকার ধারণ করে। এছাড়া ছোট-বড় যানবাহন গুলো যত্রতত্র দাঁড়িয়ে উঠানামা করছে যাত্রী। এসব কারণে পারকি সমুদ্র সৈকতে আসা পিকনিকের গাড়ি, বঙ্গবন্ধু টানেলের গাড়ি, পেকুয়াগামী সাইনলাইন ও এসআলম সার্ভিসের মত বড়-বড় গাড়িও যানজটে আটকে থাকতে দেখা গেছে।

যাত্রীরা জানান, এই প্রবেশ মোড়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শহর থেকে তিন উপজেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এই সড়কটিতে যানজট লেগেই থাকে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালনে অবহেলাও এর জন্য দায়ী। মানুষের এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশকে আরো দায়িত্ববান হতে হবে। সড়কের দুই পাশ থেকে ভাসমান বাজার ও অবৈধ সিএনজি স্টেশন গুলো তুলে দিতে হবে।

চাতরী চৌমুহনী ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইনচার্জ সামিউর রহমান বলেন, সকাল ও সন্ধ্যায় একটু যানজট হয় কেইপিজেডের বাড়তি গাড়ির চাপের কারণে। স্থানীয় কিছু ড্রাইভার কোনো কথা শুনতে চাই না। তাদের ইচ্ছে মত গাড়ি পাকিং করে রাখে। আগামী মাসে ট্রাফিক আইন পুরোপুরি চালু হলে এ সমস্যা সমাধান হবে।