সরকারের কাছে ধান বিক্রি করবে কৃষক ঘরে বসেই : মোবাইল অ্যাপ প্রযুক্তি

সরকারের কাছে ধান বিক্রি করবে কৃষক ঘরে বসেই : মোবাইল অ্যাপ প্রযুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

কৃষকের কল্যাণে প্রযুক্তি যুক্ত হয়ে কৃষিজীবী মানুষের জীবনে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটাতে যাচ্ছে। কৃষকের জন্য সুসংবাদ বৈকি। কৃষক ঘরে বসেই অ্যাপের মাধ্যমে সরকারের কাছে ধান বিক্রির আবেদন করতে পারবে। কৃষক আবেদন করার পর আবেদনটি কী অবস্থায় আছে তিনি তা অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কৃষক যদি কৃষক নির্বাচনি লটারিতে বিজয়ী হন এবং বরাদ্দাদেশ পান সেটিও তিনি ঘরে বসেই জানতে পারবেন। কৃষক যখন ধান সরবরাহ করবেন তখন তিনি অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন তার ওজন মান মজুদ সনদের অবস্থা কী।

এ ছাড়াও তিনি মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে তার আবেদনের অবস্থা জানতে পারবেন। এটির নিবন্ধন প্রক্রিয়া খুবই সহজ। নিবন্ধন শুধু একবারই করতে হবে। নিবন্ধনের সময় সংশ্লিষ্ট কৃষকের জাতীয় পরিচয়পত্রটি নির্বাচন কমিশন থেকে যাচাই (অনলাইনে) করা হয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃষি ও কৃষকবান্ধব সরকার এই দুরবস্থা লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে সচেষ্ট। তারই অংশ হিসেবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের দিকনির্দেশনায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন খাদ্য অধিদফতর মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বর্তমান আমন মৌসুমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ধান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছিল। কৃষকের অ্যাপটি মূলত স্মার্টফোনে ব্যবহারোপযোগী একটি অ্যাপ্লিকেশন/সফটওয়্যার।

এটি ডিজিটাল ধান/খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেটি শুধু কৃষকরা ব্যবহার করবেন। কৃষক যেন আঙুলের ছোঁয়ায় সরকারি সেবা পেতে পারেন, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এই অ্যাপ্লিকেশন/সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। এটি গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ইতোমধ্যে পাইলটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত ১৬টি উপজেলার ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৯ কৃষক এই অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন আবেদন করেছেন।

এর মধ্যে ধান বিক্রির আবেদন করেছেন ৭৬ হাজার ৫৮৩ জন। এখনও পর্যন্ত এই অ্যাপটি ২৬ হাজারের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। কৃষক নিবন্ধনের শেষ তারিখ ছিল ১২ ডিসেম্বর-২০১৯ এবং ধান বিক্রির আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ২০ ডিসেম্বর-২০১৯। এরপর ২৫ ডিসেম্বরের কম্পিউটারভিত্তিক লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কারিগরি সহযোগিতায় অ্যাপটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সুমন মেহেদী জানান, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক সব তথ্য জানতে পারছেন, এ কারণে হয়রানি অনেকাংশে কমে যাবে। এ ছাড়া কৃষকের আবেদনের অবস্থা কী তাও জানা যাবে। কৃষকের বরাদ্দাদেশ জারি হলে তা ঘরে বসেই দেখা যাবে, এটার জন্য উপজেলা খাদ্য অফিসে গিয়ে খোঁজ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এ ছাড়াও এটি ব্যবহার করে কৃষক তার মতামত বা অভিযোগ করতে পারবেন। কৃষক ব্যাংক থেকে খুব সহজেই তার প্রাপ্যতা বুঝে নিতে পারবেন। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন থেকে যাচাই করা হয়ে থাকে, তাই ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রধারী কেউ নিবন্ধিত হতে পারবে না।

সুত্র. সময়ের আলো ।