সরকারি কাজে বাধা ও পাহাড় কাটা, কবির ষ্টীলের শ্রমিকের বিরুদ্ধে পরিবেশের মামলা!

সরকারি কাজে বাধা ও পাহাড় কাটা, কবির ষ্টীলের শ্রমিকের বিরুদ্ধে পরিবেশের মামলা!
সরকারি কাজে বাধা ও পাহাড় কাটা, কবির ষ্টীলের শ্রমিকের বিরুদ্ধে পরিবেশের মামলা

বিশেষ প্রতিবেদক।। 

কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেডের (কেএসআরএম) বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটি ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম ও জুনিয়র অফিসার নাজিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী আশরাফ উদ্দিন বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলাটি করেন। এসব তথ্য শুক্রবার জানাজানি হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ডে কেএসআরএমের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন/তদন্ত করার উদ্দেশ্যে গত ২৬ জানুয়ারি দুপুরে কেএসআরএম স্টীল প্লান্ট কারখানার মূল ফটকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-১৩-১৫৪১) নিয়ে অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার ও সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন উপস্থিত হন।

এসময় কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে সিকিউরিটি ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম ও জুনিয়র অফিসার নাজিউর রহমান প্রবেশে বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের কাছে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের মুঠোফোন নম্বর চাইলে তা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানান এবং বাইরে ৪৫ মিনিট অপেক্ষায় রাখেন। যা সরকারি কাজে বাধা প্রদানের সামিল।

পরবর্তীতে ফিরে আসতে বাধ্য হন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এই প্রেক্ষিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি কেএসআরএম এর সিকিউরিটি ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম ও জুনিয়র অফিসার নাজিউর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পাহাড় কাটার প্রকৃত অবস্থা দেখে যাওয়ার ভয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ঢুকতে দেয়নি কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। অব্যাহত পাহাড় কাটার ফলে ইতোমধ্যে পাহাড়ের বিশাল অংশ সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে আমরা দুজনকে আসামি করে মামলা করেছি। মামলাটি তদন্ত করছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন উপ-পরিচালক। আমরা তদন্ত করলেও গ্রেপ্তার করা আমাদের কাজ নয়।’

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মামলাটি আমাদের থানায় কেবল নথিভুক্ত হয়েছে। এ মামলার তদন্ত থেকে শুরু করে চার্জশিট দাখিল- সবকিছু পরিবেশ অধিদপ্তর করবে।’

অভিযোগের বিষয়ে কেএসআরএম এর সিইও মেহেরুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

খালেদ / পোস্টকার্ড;