সবজির দাম এখন ডাবল সেঞ্চুরি, হাত বদলের খেলায় কৃষক ও ভোক্তা মূল্যে বিস্তর তফাত

সবজির দাম এখন ডাবল সেঞ্চুরি, হাত বদলের খেলায় কৃষক ও ভোক্তা মূল্যে বিস্তর তফাত

এসএম আলমগীর ।। 

সবজির দাম এখন ডাবল সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির কাছাকাছি অধিকাংশ সবজি। ৮০ টাকার নিচে সবজি আছে হাতে গোনা দুয়েকটি। কিন্তু সবজির দাম আসলেই কী এত বেশি হওয়া উচিত? উৎপাদক ও ভোক্তা মূল্যের তফাতটি দেখলেই এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। এই দুই পর্যায়ের মূল্যের ফারাক দেখলে নিশ্চিত করেই বলা যায়Ñসবজির দাম এত আকাশচুম্বী হওয়া মোটেই সমীচীন নয়। প্রশ্ন হলো তাহলে সবজির দাম এত চড়া কেন। এর উত্তর হচ্ছে সবজিতে হাত বদলের খেলার কারণেই দাম বেড়ে যাচ্ছে তিন থেকে চার গুণ।

সবজির উৎপাদক বা কৃষক এক কেজি বেগুন বিক্রি করছেন ৩০ টাকায়, কিন্তু এই ৩০ টাকার বেগুন ভোক্তার থলেতে ঢুকছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। তাহলে উৎপাদক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছতে এক কেজি বেগুনের দাম বেড়ে গেল চার গুণ। এভাবে শিম, পটোল, ঢেঁড়স, করলা, কাঁকরোল, শসা থেকে শুরু করে সব ধরনের সবজির দাম হাত বদলের কারণে বেড়ে যাচ্ছে তিন থেকে চার গুণ।

এখন দেখা যাক সবজির হাত বদল কোন কোন পর্যায়ে হচ্ছে এবং একেক ধাপে সবজির দাম বাড়ছে কত করে। গ্রামের একজন কৃষক তার জমি থেকে বেগুন তুলে স্থানীয় জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের মোকামে বিক্রি করতে নিয়ে যান। দাম বৃদ্ধির খেলাটা শুরু হয়ে যায় এখান থেকেই। কৃষকের কাছ থেকে ৩০ টাকায় কিনে স্থানীয় মোকামের ফড়িয়ারা সেটি বিক্রি করেন ৪০ টাকায়। অর্থাৎ প্রথম দফার হাত বদলেই এক কেজি বেগুনে দাম বেড়ে গেল ১০ টাকা। ফড়িয়ার কাছ সবজি চলে যায় স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীদের হাতে। এখানে কেজিতে বাড়ে আরও ১০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সবজির একটি অংশ চলে যায় স্থানীয় বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে, আরেকটি অংশ চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে। ঢাকায় আসার পর কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজারের মতো বড় বড় সবজি বাজারের মোকামে আসে। জেলা থেকে ঢাকায় আসার পথে রাস্তায় বেশ কয়েক জায়গায় পুলিশ, পরিবহন শ্রমিকসহ বেশ কয়েক ধাপে চাঁদাবাজি হয়। এই চাঁদাবাজির টাকাও যুক্ত হয় সবজির দামে এবং এর কারণে কেজিপ্রতি দাম বেড়ে যায় ১০ থেকে ১৫ টাকা।

ঢাকার মোকামে আসতে আসতে ওই ৩০ টাকার বেগুনের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় ঠেকে যাচ্ছে। মোকাম থেকে সবজি কেনেন বিভিন্ন বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা। তারা ৮০ টাকায় কিনে ৯০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর খুচরা বিক্রেতারা ৯০ টাকায় বেগুন কিনে বাজারভেদে কেউ বিক্রি করছেন ১০০ টাকায়, কেউ ১১০ টাকায়, আবার কেউ ১২০ টাকায়। এভাবেই উৎপাদক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে আসতে ৫ হাত বদলের কারণে ৩০ টাকার বেগুন হয়ে যায় ১২০ টাকা। শুধু বেগুন নয়, প্রতিটি সবজির দাম বাড়ছে একই প্রক্রিয়ায়।

এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভের কারণেই এখন সবজির বাজার এত চড়া। বাজারে গেলে সবজি বিক্রেতার কাছে তো সবজির কোনো কমতি দেখা যায় না। দেশে সবজির যদি সঙ্কটই থাকত, তাহলে বাজারে এত সবজি দেখা যেত না। তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে? দেশে সবজির কোনো সঙ্কট নেই, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই দাম বাড়াচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে উৎপাদক থেকে ভোক্তাপর্যায়ে আসতে চার-পাঁচ হাত বদলের কারণে সবজির দামটি বেশি বেড়ে যাচ্ছে। সবজি ভোক্তার কাছে পৌঁছতে হাত বদল হতেই হবে, কিন্তু প্রতিটি ধাপে যদি ন্যায্য মাফিক সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ শতাংশ মুনাফা করত তাহলে সবজির দাম এত বাড়ত না। তাই বাজারে সরকারের কঠোর মনিটরিং করা দরকার এবং এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া দরকার।

মেহেরপুর প্রতিনিধি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা জানান, মেহেরপুরের একজন কৃষক প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি করছেন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। মেহেরপুরের কাঁচামালের আড়তে সবজি বিক্রয় করতে আসা কৃষক সদর উপজেলার চকশ্যামনগরের হাবিবুর রহমান জানান, তিনি বাঁধাকপি ২০ টাকা এবং বেগুন ৩০ টাকা কেজি দামে বিক্রয় করেছেন। আর মোনাখালী গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, কাঁচামরিচ বিক্রয় করলেন ১৬৫ টাকা কেজি দামে। একই রকম কথা বললেন কৃষক স্বপন আলী।

কাঁচামালের আড়ত মেসার্স ঢাকা ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী সাহেব আলী বলেন, আমরা কমিশন এজেন্ট, কৃষকের কাছ থেকে সবজি ওজন করে মজুদ রাখি এবং পাইকারদের কাছে ১ টাকা কমিশনে দিয়ে দেই। পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকায় বা দেশের যেকোনো প্রান্তে এগুলো বিক্রয় করেন। কৃষকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে করলা ৪০-৪৫, কাঁকরোল ৩৩, কচু ২২, বেগুন ৩০-৩৫, পেঁপে ১৮, শসা ৩৫, ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি ২৫, মরিচ ১৬৫ ও পটোল ৪০ টাকা কেজিতে।

অথচ মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্র বলছে জেলায় এবারও প্রচুর সবজির চাষ হয়েছে। উপপরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, জেলায় প্রচুর জমিতে সবজি আবাদ হয়। এ মৌসুমে ৪ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়েছে। আমরা আশা করছি যে কৃষকরা আগামীতে আরও বেশি চাষ করবে।

নরসিংদী প্রতিনিধি আবুল বাশার বাছির জানান, নরসিংদীর সবজি বাজারগুলো এখন সবজিতে সয়লাব। গ্রামীণ বাজার জুড়েই নানা জাতের সবজির সমারোহ। প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সবজি পৌঁছাতে তিন থেকে চার জনের হাত বদল হয়। কৃষক থেকে পাইকার-পাইকার থেকে মধ্যস্বত্বভোগী। মধ্যস্বত্বভোগী থেকে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছতে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। এর জন্য মধ্যস্বত্বভোগী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কারসাজিকেই দায়ী করছেন ভোক্তা ও কৃষি বিভাগ।

নরসিংদীর বিভিন্ন পাইকারি সবজির বাজারে দেখা যায় পাইকারি বাজারগুলোয় প্রকার ভেদে শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০ টাকায়। মানভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। চিচিঙ্গা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি ধরে। নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শুভন কুমার ধর জানান, মূলত এখন সবজির সিজেন একবারে শেষপর্যায়ে। সে কারণেই আগের তুলনায় সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। তবে শীতের আগাম সবজি ফলন এলেই দাম কমে যাবে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি ইসমাইল হোসেন জানান, কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে সঙ্কট না থাকলেও গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। কোনো কোনো সবজির ক্ষেত্রে আরও বেশি, যা নি¤œবিত্ত মানুষের পক্ষে কেনা প্রায় অসাধ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি চাহিদার সবজি আলুর দাম এখন প্রতিকেজি ৫০ টাকা, যা আরও বাড়তে বলে বলছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে কাঁচামরিচ ২১০-২২০, পেঁয়াজ ৮০, শসা ৭৫, বেগুন ৬০, বরবটি ৬০ এবং টমেটো ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত দুই সপ্তাহ আগে কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে।

কুষ্টিয়ার বিত্তিপাড়া বাজারে দেখা যায়, কাঁচামরিচ ১৬০-১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা বিত্তিপাড়া থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুষ্টিয়ার পৌর বাজারে ২০০ টাকা এবং আশপাশের ছোট বাজারগুলোয় ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৯ কিলোমিটার দূরে যার ব্যবধান কেজিপ্রতি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা কুষ্টিয়ার বাজারে ৬০ টাকা। শিম ১০০ টাকা, যা কুষ্টিয়ার বাজারে ১৩০ টাকা, পটোল ৪২ টাকা, কুষ্টিয়ার বাজারে ৬০ টাকা, আর ১৫-২০ টাকার লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি কামরুদ্দিন রেজা জানান, মানিকগঞ্জে সবজি চাষিরা ভালো দামেও খুশি হতে পারছেন না। তিন দফায় বন্যার কারণে কৃষকরা সময়মতো সবজি উৎপাদন করতে পারেননি। পাইকারি বাজারে শসা ৩৫ টাকা, করলা ৫০, কাঁচামরিচ ১৭০, মুলা ৩০ টাকা কেজি। অথচ খুচরা বাজারে প্রতিটি সবজিই কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

যশোর প্রতিনিধি জানান, যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার কৃষকরা মৌসুমে দুবার সবজির আবাদ করে থাকেন। তবে এবার অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অনেক সবজি দুই থেকে তিনবার চাষ করা হয়েছে। ফলে তুলনামূলকভাবে উৎপাদিত সবজির ফলন কম, বাজারেও দাম বেশি।

যশোরের পাইকারি বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো পাইকারি বাজারে ৮০ টাকা, খুচরা বাজারে ১শ টাকা, পটোল পাইকারি বাজারে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, খুচরা বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। মুলা ৩০ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা।

ঢাকার বাজার চিত্র

জেলা থেকে ঢাকায় আসার পরই সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ গুণ। ঢাকার বাজারে এখন সাতটি সবজির কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। বাকি সবজিগুলোর বেশিরভাগের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার কাছাকাছি। আর হঠাৎ করে দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হওয়া আলুর কেজি এখনও ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা গেছে, খুচরা ব্যবসায়ীরা আলু কেজি বিক্রি করছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ৩০ টাকা। সরকার আলুর দাম বেঁধে দিলেও তার তোয়াক্কা করছে না ব্যবসায়ীরা।

টমেটো গত কয়েক মাসের মতো এখনও ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। আর শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। বরবটির কেজি গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। এক কেজি উস্তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এগুলোর পাশাপাশি বাজারে অন্য সবজিগুলোও স্বস্তি দিচ্ছে না। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, তা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ঝিঙা, কাঁকরোল, ধুন্দুল, কচুর লতি। ঝিঙার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, তা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া কাঁকরোলের দাম বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কচুর লতি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লাউয়ের পিস গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বাজারে আসা শীতের আগাম সবজি ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে শুধু মুলা ও পেঁপে। এর মধ্যে মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। স্বস্তি মিলছে না কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামেও। এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজের কেজির জন্যও গুনতে হচ্ছে ৮০ টাকা। গত মাসে ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।- সময়ের আলো