সীতাকুন্ডে কোনোভাবেই থামছে না মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল, মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাসোয়রা আদায়ের অভিযোগ

সীতাকুন্ডে কোনোভাবেই থামছে না মহাসড়কে অটোরিক্সা চলাচল,  মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাসোয়রা আদায়ের অভিযোগ

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি।।

সীতাকুন্ডে মহাসড়কের ফকিরহাট এলাকায় অটেরিক্সায় ওড়না পেছিয়ে অকালে মৃত্যু হয়েছিল এক কলেজ ছাত্রীর। এ ঘটনার কয়েকদিন পর ভাটিয়ারীতে খেলারত শিশুর জীবন কেড়ে নেয় অটোরিক্সা। এতো ঘটনার পরও মহাসড়কে কোনোভাবেই থামছে না অবৈধ রিক্সা চলাচল। বিভিন্ন ব্যাক্তি-সংগঠনের নামে অবৈধ রিক্সা চলাচল করায় মারাত্মক ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে মহাসড়ক। সকল প্রকার আইন বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দুর্দ্বান্ত প্রতাপে অবৈধ রিক্সা দাপিয়ে চললেও নিরব দর্শক প্রশাসন। ফলে আবারো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে সড়ক জুড়ে। তবে সড়কে অবৈধ রিক্সা চলাচল বৃদ্ধি পেছনে মাসিক মাসোয়রাই দায়ী বলে মনে করছেন সর্বসাধারন।

সূত্রে মতে, পৌরসদরকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক কেন্দ্রিক প্রায় ২’শ রিক্সা চলাচল করছে বিভিন্ন রুটে। অটোরিক্সা মালিক সমিতির নামে মাসিক মাসোয়রার বিনিময়ে মহাসড়ক ও সংযুক্ত গ্রামীন সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিক্সা।  মাসিক ধার্যকৃত ৫’শ টাকা হারে ২’শ রিক্সা হতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা মাসোয়ারা আদায় করে সমিতি। আর সমিতির মাধ্যমে আদায়কৃত চাঁদা প্রশাসনসহ বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করতে হয় বলে জানান রিক্সা মালিক ও চালকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিক্সা মালিকরা বলেন,‘ সড়কে গাড়ি চালাতে হলে দিতে হবে চাঁদা। সমিতির মাধ্যমে উত্তোলিত মাসিক চাঁদায় বিভিন্ন লোকজনকে ম্যানেজ করে গাড়ি চলছে রাস্তায়। চাঁদা দিতে ব্যার্থ হলেই অঢ়ল হবে গাড়ির চাকা।’ আর এভাবে পৌরসদর হতে সড়কের উত্তর-দক্ষিনে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ব্যাকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অটোরিক্সা। দিনে দিনে অটোরিক্সার ব্যাপকতা বেড়ে সড়ক পথ ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠায় শংকিত হয় পড়েছে মহাসড়কের এই অংশ।

এ বিষয়ে কুমিরা ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন,‘ অটোরিক্সা তো দুরের কথা মহাসড়কে তিন চাকার যান চলা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এরপরও আইন অমান্য করে অটোরিক্সা চললে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া কানো প্রকার মাসোয়ারা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।