সীতাকুণ্ডে স্কুল মাঠে দেয়াল নির্মাণ বন্ধ, রক্ষা পেল শিশুদের খেলার মাঠ

সীতাকুণ্ডে স্কুল মাঠে দেয়াল নির্মাণ বন্ধ, রক্ষা পেল শিশুদের খেলার মাঠ
সীতাকুণ্ডে স্কুল মাঠে দেয়াল নির্মাণ বন্ধ, রক্ষা পেল শিশুদের খেলার মাঠ

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ।।

সীতাকুণ্ডে স্কুল মাঠের মাঝ বরাবর দেয়াল নির্মাণ বন্ধ হওয়ায় শিশুদের খেলার মাঠ রক্ষা পেল। 

সোমবার বেলা একটার দিকে সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের বড়দারোগাহাট আবদুর রউফ উচ্চবিদ্যালয় ও দারোগাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ মাঠে দেয়াল নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনি মাঠটি পরিদর্শন শেষে দেয়াল নির্মাণকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ দেন। মাঠের মাঝবরাবর করা গর্ত দুই দিনের মধ্যে ভরাটের জন্য সময় বেঁধে দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুচ্ছোফা।

এদিকে ইউএনওর নির্দেশ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় গর্তগুলো ভরাট করতে শুরু করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম। তিনজন শ্রমিক নিয়ে তাঁরা গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেন। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে গর্ত ভরাট করতে চান প্রধান শিক্ষক।

এ মাঠ বিভক্ত হওয়া থেকে রক্ষায় একাই আন্দোলন করছিলেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন নিজামী। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে সমর্থন জানান তবে কেউ প্রকাশ্যে এগিয়ে আসেননি।

ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনি স্কুল মাঠ পরিদর্শন শেষে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে গর্তগুলো ভরাটের জন্য নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মাঠের মধ্য দিয়ে যে স্থানীয় লোকজন চলাচল করেন, তাঁদের জন্য মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে একটি পকেট গেট তৈরির পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের নতুন ভবন নির্মাণ করতে পারবেন, তবে সেটি করতে হবে মাঠ রক্ষা করে, কোনোভাবেই মাঠ বিভক্ত করে নয়।

জানতে চাইলে দারোগাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলামবলেন, মূলত তাঁদের বিদ্যালয়ের চারদিকে সুরক্ষাদেয়াল নির্মাণের জন্যই তাঁরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। যেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেয়াল তুলতে নিষেধ করেছে, সে জন্য শ্রমিক ডেকে গর্ত ভরাট করা শুরু করেছেন। পরবর্তী কোনো নির্দেশনা না এলে মাঠে আর দেয়াল নির্মাণ করা হবে না বলে জানান তিনি।

এ সময় বড়দারোগাহাট আবদুর রউফ মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক (অবসরপ্রাপ্ত) রুহুল আমিন নিজামী বলেন, মাঠটি রক্ষা পাওয়ায় আমি অনেক খুশি । তিনি বলেন, তাঁর বিশ্বাসের জয় হয়েছে। এ জন্য তিনি আনন্দিত। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

রুহুল আমিন বলেন, তিনি অবসরে চলে গেছেন। এখন স্কুল থেকে কিছু পাবেন, এমন আশায় তিনি এ আন্দোলনে নামেননি। স্কুল ও এর ছেলেমেয়েদের তিনি নিজ সন্তানের মতোই ভালোবাসেন। এ জন্য বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে থাকা স্কুলটিতে প্রায়ই ছুটে আসেন।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;