সীতাকুণ্ডের মেহের এগ্রো , কোরবানীর জন্য বড় মাঝারি সাইজ গরু নিয়ে প্রস্তুত

সীতাকুণ্ডের মেহের এগ্রো , কোরবানীর জন্য বড় মাঝারি সাইজ গরু নিয়ে প্রস্তুত
সীতাকুণ্ডের মেহের এগ্রো , কোরবানীর জন্য বড় মাঝারি সাইজ গরু নিয়ে প্রস্তুত

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর বানুবাজার এলাকায় মেহের এগ্রো নামে তরুণ উদ্যোক্তা পারভেজ উদ্দীন সান্টু'র গরুর খামারে বিশাল আকৃতির বড়, মাঝারী কোরবানির পশু উপজেলাতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে এই খামারের কোরবানি পশু দেখার জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারাও আসা শুরু করেছেন।

মেহের এগ্রোর এই খামারে দৃষ্টিনন্দন বিশাল আকৃতি গরু ছাড়াও তার খামারে ছোট- মাঝারী মিলিয়ে অনেক কোরবানির পশু প্রস্তুত আছে। ব্যাবসার পাশাপাশি শখের বশে নিজ উদ্যোগে ভাটিয়ারীর বানুবাজার এর পূর্ব পাশে নিজস্ব জায়গায় গরুর খামারের কার্যক্রম শুরু করেন পারভেজ উদ্দীন সান্টু।

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আগথেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উন্নত জাতের ষাঁড় গরু সংগ্রহ করেন তিনি। আর পরে নিজের খামারে সেগুলো এনে যত্ন নিয়ে দেশী প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে মোটাতাজা করে তোলেন। কোনো প্রকার বাইরের খাবার না দিয়ে নিজেদের তৈরি মিশ্রিত খাবার আর কাঁচা ঘাস দেওয়া হয় এই খামারে।

কয়েক বছর ধরে সীতাকুণ্ডে মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই খামারে বিশাল আকৃতির পশু পাওয়া যাচ্ছে। মেহের এগ্রোর ব্যবস্থাপক মিঠু বলেন, ব্যবসার পাশা-পাশি আমরা এই গরুর খামার করি। খামারের গরুর প্রতি একটা মায়া বসে গেছে, তাদের যত্নে আমাদের সময় কাটে । আমাদের গরুকে কখনও মোটাতাজা করন ঔষধ বা খাবার খাওয়ানো হয় না। পুষ্টিকর ভালো মানের খাদ্য দেওয়া হয়। তাই আমার খামারের গরু যারা নিয়েছেন, তারা আবার আমার কাছে অর্ডার দেন। আমরা কখনও হাটে গরু নেই না। খামারে আমার গরু বিক্রি হয়ে যায়। এই বছরে প্রায় কোটি টাকারও বেশি পশু বিক্রি করবো বলে আশা করছি। আমরা গরু ক্রেতা থেকে অতিরিক্ত দাম নিইনা ,কারন আমরা সবার কাছে পরিচিত হতে চাই,এইটা আমাদের নেশা । 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;