সীতাকুণ্ডের অগ্নিদ্বগ্ধ গৃহবধূ মারা গেলেন 

সীতাকুণ্ডের অগ্নিদ্বগ্ধ গৃহবধূ মারা গেলেন 
সীতাকুণ্ডে অগ্নিদ্বগ্ধ গৃহবধূ মারা গেলেন 

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা ।।

তিন দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন সীতাকুণ্ডে্র অগ্নিদ্বগ্ধ গৃহবধূ পপি আক্তার সালমা (২১) ।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর নিহতের পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে লাশ পাবার জন্য আবেদন করলেও পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড পৌরসভাধীন ১ নম্বর ওয়ার্ডের নুনাছড়া বটতল এলাকার ভাড়াটিয়া মো. আরিফ হোসেনের স্ত্রী গৃহবধূ পপি আক্তার সালমা গত রবিবার রাতে নিজ ভাড়া বাসায় কাঠের চুলাতে রান্না করার সময় অগ্নিদ্বগ্ধ হন। এ ঘটনার পর তার স্বজনরা তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরের ৮৪ শতাংশ পুড়ে গেছে জানিয়ে তাকে ৩৬ নম্বর বার্ণ এন্ড প্লাষ্টিক সার্জারী আইসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর আগে চমেক হাসপাতালে পাঁচলাইশ থানার পুলিশের কাছে জবানবন্ধী দেন সালমা। এতে তিনি বলেন, ‘কাঠের চুলোয় রান্নার জন্য কেরোসিন ঢালার সময় তা গায়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে কোলে থাকা বাচ্চাকে তিনি নিচে ফেলে দেন। এসময় তার স্বামী বাজার থেকে ঘরে এসে আগুন দেখে নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে তাকে চমেকে নিয়ে আসেন।

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মহিলাটি তার স্বামীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানেই তিনি রবিবার অগ্নিদ্বগ্ধ হন এবং মঙ্গলবার মারা গেছেন।’

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, নিহত গৃহবধূ পপি আক্তার সালমা মৃত্যুর আগে দেওয়া জবানবন্ধীতে জানান যে রান্নার সময় তিনি নিজেই আগুনে পুড়ে যান। তিনি কাউকে দায়ী করেননি। এ কারণে তার মা পাঁচলাইশ থানায় মেয়ের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পাবার জন্য আবেদন করেছেন। তবুও আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।