সীতাকুণ্ডে মৎস্য প্রজেক্টে সাঁতার কাটতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে গেলেন পর্যটক!

সীতাকুণ্ডে মৎস্য প্রজেক্টে সাঁতার কাটতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে গেলেন পর্যটক!
সীতাকুণ্ডে মৎস্য প্রজেক্টে সাঁতার কাটতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে গেলেন পর্যটক!

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ডে মৎস্য প্রজেক্টে সাঁতার কাটতে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে গেলেন এক পর্যটক ।ঝরনা দেখে ফেরার পথে মৎস্য প্রজেক্টে সাঁতার কাটতে ঝাঁপ দিয়ে সোহানুর (২৬) নামে এই পযটকের মৃত্যু ঘটে।

আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগারহাট সহস্রধারা ঝরনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

মৃত সোহানুর নড়াইল জেলার লোহাগারা থানার লক্ষীপাশা গ্রামের মুন্সী আবুল হাসেমের ছেলে। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দল, পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন রেহান।

এ বিষয়ে সোহানুরের বন্ধু রিয়াদ জানান, তারা ঢাকা নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অবস্থিত জেনেক্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানের তিন চাকুরিজীবী বন্ধু আজ সকালে সীতাকুণ্ড ভ্রমণে আসেন। সকালে তারা তিনজন ছোটদারোগারহাটে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজেক্ট পেরিয়ে সহস্রধারা ঝরনা দেখতে যান। বিকাল ৩টার দিকে সেখান থেকে ফেরার সময় বন্ধু সোহানুর সাঁতার কেটে আসবেন জানিয়ে প্রজেক্টের মাঝামাঝি এলাকায় নৌকা থেকে লাফিয়ে পড়েন জলে। তাকে দেখে ঝাঁপ দেন রিয়াদ নিজেও ঝাঁপ দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিয়াদ কূলে আসতে সক্ষম হলেও সোহানুর তলিয়ে যান। 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বারৈয়াঢালার ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেহান উদ্দিন রেহান বলেন, সহস্রধারা ঝরনা দেখে ১০ জন দর্শনার্থী একসাথে একটি নৌকায় কূলে ফিরছিলেন। লাশ তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি । বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ডুবুরি দল সোহানুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল বলেন, এক পর্যটক নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ডুবুরি আনা হয়। পর্যটকটি যেখানে ডুবে যান তার কিছু দূরত্বে আমাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রথম ডুবে ডুবুরি নিখোঁজ পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধার পরবর্তীতে মৃতদেহ সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছোট নৌকায় ঝরনায় যাতায়াত এমনিতে ঝুঁকিপূর্ণ। আমি বারবার সেখানকার কর্তৃপক্ষকে এভাবে পর্যটক না নিতে অনুরোধ করেছিলাম। আজ আবার একটি দুর্ঘটনা ঘটল। কারো ব্যবসার জন্য এ রকম মৃত্যু মোটেও কাম্য নয়। আমরা আইনগত ব্যবস্থা শেষে লাশ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করব বলে জানান তিনি।

 খালেদ / পোস্টকার্ড ;