সীতাকুণ্ড মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, নির্বিকার প্রশাসন

সীতাকুণ্ড মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, নির্বিকার প্রশাসন
সীতাকুণ্ড মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা, নির্বিকার প্রশাসন

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকলেও এখানে অবাধে চলাচল করে ব্যাটারি চালিত মোটর রিকশা। শুধু সড়ক-মহাসড়ক নয়,অলিগলিতেও অবাধে চলাচল করছে এসব অবৈধ রিকশা। অবৈধ এসব রিকশার নিয়ন্ত্রণহীণ চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া অন্যান্য যানবাহনের দুর্ঘটনাও অনেক ক্ষেত্রে এসব অবৈধ রিকশার এলোমেলো চলাচলের কারণে হয়ে থাকে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা,যা আছে তাও নিয়ন্ত্রণে না রাখা, প্রশিক্ষণবিহীন ও অদক্ষ চালক, ট্রাফিক আইন না মানা ও না বুঝা ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।

সম্প্রতি বিপরীত দিক থেকে আসা এমন একটি ব্যাটারি চালিত রিকশার সজোরে আঘাতে অফিসে যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ভাটিয়ারীতে মারাত্মকভাবে আহত হন সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। এই  সময় তাঁর শরীরের জামা-কাপড় ছিঁড়ে যায়।

এবিষয়ে মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন তাঁর ফেসবুক আইডি সাখাওয়াত সাগর এ লেখেন, আল্লাহ সহায় না হলে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত ! তিনি , সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট "ব্যাটারি চালিত এসব অবৈধ মোটর রিকশা বন্ধের জোর দাবি জানান "

শুধু সাখাওয়াত সাগর না, সীতাকুন্ডে ব্যাটারী চালিত অটেরিক্সায় ওড়না পেছিয়ে অকালে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর পর আটোরিক্সা বন্ধে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে সর্বসাধারন। এ ঘটনার পর থেকে অটোরিক্সা বন্ধে উদ্যোগ গ্রহন করে প্রশাসন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সময় সাপেক্ষ হওয়ায় ঘটনার রেশ না কাটতে অদৃশ্যভাবে পূনরায় দুর্দান্ত প্রতাপে মহাসড়ক দখল করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিক্সা।অনেক দুর্ঘটনা লোকচক্কুর আড়ালে ঘটে যাচ্ছে। কিছু দেখা যাচ্ছে কিছু দেখা যাচ্ছেনা । ফলে মহাসড়কসহ উপ-সড়কে বেপোরোয়া হয়ে নিয়েছে ভয়ংকর রুপ।অথচ প্রশাসনের নাকের ডগায় দুর্বার গতিতে মহাসড়ক ও সংযুক্ত সড়কে অটোরিক্সা চলাচল বৃদ্ধি পেলেও নেই আইনানুগ ব্যবস্থা। ফলে যেকোন মুহূর্তে বারংবার বড় ধরনের দুর্ঘটনায় যে কোনো সময় যে কারো কূল খালি হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।আর মাসিক মাসোয়ারায় চলাচল করায় মহাসড়কে অটোরিক্সা বন্ধে কার্যকর ভূমিকা নেই বলে রয়েছে অভিযোগ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যাই, সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং পৌরসদরকে কেন্দ্র করে প্রায় ২ হাজার অটোরক্সিা মহাসড়ক কেন্দ্রিক বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। মাসিক মাসোয়রার বিনিময়ে মহাসড়ক ও সংযুক্ত গ্রামীন সড়কে চলাচল করছে অটোরিক্সা। আর অটোরিক্সা মালিক সমিতির নামে একটি সংগঠন মাসিক নির্দিষ্ট হারে আদায় করে মাসোয়ারা। রিক্সা প্রতি ধার্যকৃত ৫’শ টাকার মাসিক হারে প্রায় ২লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায়কৃত চাঁদা প্রশাসনসহ বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করে অটোরিক্স সড়কে চলাচল করছে বলে জানান রিক্সা মালিক ও চালকরা।

রিক্সা মালিকরা বলেন,‘ সড়কে গাড়ি চালাতে হলে দিতে হবে চাঁদা। তাই সমিতির মাধ্যমে উত্তোলিত মাসিক চাঁদায় বিভিন্ন লোকজনকে ম্যানেজ করে গাড়ি চলছে রাস্তায়। যে চাঁদা দিতে ব্যার্থ হবে তার গাড়ি সড়কে চলাচল করতে পারবে না বলে জানান তারা। আর এভাবে বিভিন্ন মাধ্যমের যোগসাজশে মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে সড়কে বেড়েছে অটোরিক্সা চলাচল। ফলে সড়ক পথে শৃংখলার পরিবর্তে বৃদ্ধি পেয়েছে বিশৃংখলা।

এ বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন,‘ অটোরিক্সা তো দুরের কথা মহাসড়কে তিন চাকার যান চলা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করে অটোরিক্সা চলাচল করার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে অটোরিক্সা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

খালেদ / পোস্টকার্ড;