সীতাকুণ্ডে ফসলি জমি কাটছে এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ, রহস্যজনক ভুমিকায় প্রশাসন !

সীতাকুণ্ডে ফসলি জমি কাটছে এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ, রহস্যজনক ভুমিকায় প্রশাসন !
প্রতিকী ছবি ।

বিশেষ প্রতিবেদক।। 

সীতাকুণ্ডে টপসয়েল কেটে ফসলি জমি নষ্ট করে নতুন কারখানার জমি ভরাট করছে ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সীতাকুণ্ডের ইকোপার্ক সংলগ্ন দক্ষিণ মহাদেব পুর গ্রামে পাহাড়ের পাদদেশে কৃষি জমির টপসয়েল কেটে নতুন কারখানার জমি ভরাট করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ফসলি জমির টপসয়েলের মাটি কেটে শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনে নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যে ওই এলাকার ১০ একর কৃষি জমির টপসয়েল কেটে নিয়েছে এরা। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভুমি) সরাসরি অভিযানে গিয়ে সত্যতা পেয়েও রহস্যজনক কারনে ফিরে আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে দক্ষিণ মহাদেবপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের পাদদেশে ১০ একর কৃষি জমির টপসয়েল কাটা হচ্ছে ২টি স্কেবেটর যন্ত্র দিয়ে। যা মিনি ড্রাম ট্রাক যোগে ফেলা হচ্ছে রেললাইন সংলগ্ন এলবিয়নের নতুন কারখানার পশ্চিম পাশের নিঁচু খালি জমিতে। ইতিমধ্যে ওই স্থানে ১০০ ট্রাক(ছোট) মাটি ফেলা হয়েছে । ওই সময় সহকারী কমিশনারও (ভুমি) সেখানে ছিলেন তবে রহস্যজনক কারনে তিনি আইনানুগ কোন ব্যবস্থা না নিয়েই ফিরে যান।

স্থানীয়রা বলেন, নির্বিচারে কৃষি জমির টপসয়েল কাটার ফলে সেখানকার কৃষি জমিগুলো গভীর পুকুরে পরিণত হয়েছে। শুধু কৃষি জমি ধ্বংস নয় দক্ষিণ মহাদেবপুর গ্রামে খাল দখল করে বিশাল গাইডওয়াল নির্মাণ করেছে ঔষধ উৎপাদনকারী এ প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ আছে এলাকার প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খাল দখল, কৃষি জমি ধ্বংসের মতো পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে এলবিয়ন। এতে একদিকে এলাকার কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে আশংকাজনক হারে কমছে পরিমানও, খাল দখল হওয়ায় আসছে বর্ষা মৌসুমে রহমত নগর, মহাদেবপুর, ঢালিপাড়াসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ কয়েকদিন আগে ইকোপার্ক ছড়াটি দখলে নিয়ে নতুন কারখানার সুউচ্চ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। এতে খালটির সম্মুখ অংশ সম্পূর্ণ দখল হয়ে পানি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। এবার এলাকার কৃষি জমিগুলোকে ধ্বংস করছে এলবিয়ন। যা এলাকার কৃষি, পরিবেশ ও জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

এ বিষয়ে এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত জানান, আপনারা তো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য নিয়েছেন ঐ টাই আমার বক্তব্য। অনুমতি ব্যাতিত মাটি কাটার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি তা এড়িয়ে যান।

সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান,ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ মাটি কেটে মাটি ভরাট করার জন্য একটি লিখিত আবেদন করে, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি, কি কি শর্তে তাদের অনুমতি দেওয়া যায় বা দেওয়া যায় না বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। অনুমতির বিষয়টি তদন্তনাধীন থাকা অবস্থায় এভাবে জমির টপসয়েল কাটতে পারে কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;