সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবিঃ বাবা গেলেন ওমানে আর মেয়ে পরপারে!

সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবিঃ বাবা গেলেন ওমানে আর মেয়ে পরপারে!
সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবিঃ বাবা গেলেন ওমানে আর মেয়ে পরপারে!

সন্দ্বীপ উপকূলে স্পিডবোট উল্টে নুসরাত জাহান আনিকা (১৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আনিকার যমজ ছোট দুই বোন আদিভা ও আলিফা এবং সৈকত নামে ৯ বছরের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আনিকা মগধরা ৬ নং ওয়ার্ডের মমতাজ সুকানির বাড়ির আলাউদ্দিনের মেয়ে। ভুক্তভোগী যাত্রী সারিকাইতের বাসিন্দা নজরুল জানান, গতকাল সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে স্পিডবোটটি সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

তবে উত্তাল সাগর পার হয়ে স্পিডবোট যখন সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের সন্নিকটে আসে তখন জেলেদের জাল বোটের ইঞ্জিনের সাথে আটকে যায়। এ সময় স্পিডবোটের চালক ইঞ্জিনের সাথে আটকে যাওয়া জাল খুলতে গেলে বোটের মধ্যে পানি ঢুকে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রথমেই ড্রাইভার রিফাত (মানিক) বোট থেকে লাফ দেয়। এটি দেখে যাত্রীরাও দ্রুত নামতে গেলে বোট উল্টে সবাই পানিতে পড়ে যান।

জানা যায়, দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটে মোট ২২ জন যাত্রী ছিল। এরমধ্যে ১৮ জন বয়স্ক যাত্রী আর ৪ জন শিশু। বয়স্ক যাত্রীরা সাতরিয়ে কূলে উঠতে পারলেও ছোট শিশুরা দুর্ঘটনার কবলে পরে যান। বাতাসের তীব্র বেগের সাথে সাগর উত্তাল থাকায় বিকাল ৪ টা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ ছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহতদের দেখতে স্থানীয় স্বর্ণদ্বীপ হাসপাতালে যান। এরপর গুপ্তছড়া ঘাটে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান ও পৌর মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিমও উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন তারা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ফিটনেসবিহীন স্পিডবোট, অদক্ষ চালক ও ঘাট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করার মতো সরঞ্জামও নেই সন্দ্বীপ কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কাছে।

নিহত আনিকার বাবা কয়েকদিন আগে ওমানে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রামে আসেন। সেসময় বাবাকে বিদায় জানাতে মামার সাথে আনিকা ও তার ছোট যমজ দুই বোনও আসে। তাদের প্রবাসী বাবাকে বিদায় জানিয়ে গতকাল ফেরার পথে তারা এ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ।

খালেদ /পোস্টকার্ড ;