সীতাকুণ্ডে কবরস্থানের জায়গা বিক্রির চেষ্টা, জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালালো ভূমিদস্যু

সীতাকুণ্ডে কবরস্থানের জায়গা বিক্রির চেষ্টা, জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালালো ভূমিদস্যু
সীতাকুণ্ডে কবরস্থানের জায়গা বিক্রির চেষ্টা, জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালালো ভূমিদস্যু

কাইয়ুম চৌধুরী, সীতাকুন্ড ।।

সীতাকুণ্ডে কবরস্থানের জায়গা বিক্রির উদ্দেশ্য ওয়াল দেয়ার জন্য মাটি খনন করলে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা জনগণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় ।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুন্ড পৌরসভাস্থ ৩নং ওয়ার্ডের সোবাহান বাগ (লাঠিয়াল পাড়া) এলাকার গোডাউন রোডের প্রবেশ মুখে পুকুরের উত্তর পাড়ে চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক ও সামাজিক বিশাল কবর স্হান রয়েছে, উক্ত কবরস্থানে সমাজের লোকজন ইন্তেকাল করলে দাফন হয়ে থাকে। এই কবরস্থানের জায়গা চৌধুরী বাড়ির মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ হাসান চৌধুরী কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিক্রি করার জন্য এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫৬ লাখ টাকায় ৪ শতক বিক্রি করার দাম ঠিক করে। কিন্তু তার আগে কবরস্থানের ৪ শতক জায়গা দখলে নেয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ৯টায় হাসানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে কবরস্থানের মাটি খনন করে কবরের আলামত নষ্টের চেষ্টা  ও দেয়াল দেয়ার কাজ শুরু করে। এলাকার কয়েক জন লোক টের পেয়ে কবরস্থানে গিয়ে বাধা দিলে হাসান তাদেরকে হুমকি ধমকি দেয় ও এব্যাপারে মাথা ঘামাতে নিষেধ করে। এর মধ্য ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং সমাজের লোকজন মারমুখী হয়ে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা মাটি কাটা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ সামছুল আলম আজাদ ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্ত করলে হাসান গণপিটুনি থেকে রক্ষা পায়।

এলাকাবাসী জেসমিন চৌধুরী ও ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, ইতিপূর্বে হাসান চৌধুরী গোপনে কবরস্থানের জায়গা বিক্রি করে ফেললে জনৈক জনি নামে এক ব্যক্তি জারা ভিলা নামকরণ করে বিল্ডিং তৈরী করে ফেলে। এতে জনগণ সেই সময় ভয়ে বাধা দিতে পারেনি। তাছাড়া এলাকাবাসী বলেন,বিগত কয়েক মাস আগে হাসান তার চাচাতো ভাই নাছির উদ্দিন চৌধুরীর ভাড়াটিয়া এস আলম হোটেলের মালিকের কাছে চাঁদা না পেয়ে হোটেলের আসবারপত্র ভাঙ্গচুর করে তালা লাগিয়ে দেয়। এতে হোটেল মালিক প্রতিবন্ধী মোঃ নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে চাঁদা দাবীসহ ভাঙ্গচুরের মামলা করে।

চৌধুরী বাড়ির নাছির চৌধুরী স্বীকার করে, কবরস্থানটি তাদের চৌধুরী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান এবং সমাজের লোকজনও যাতে তাদের মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করতে পারে সেজন্য আমাদের বাড়ির মুরুব্বীরা সমাজের সর্দার মাতব্বরকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর মোঃ সামছুল আলম আযাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি বিষয়টি শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসান গণরোষানল থেকে রক্ষা করি।

উল্লেখ্য, পৌর এলাকার জায়গার দাম বৃদ্ধি কিছু লোভী ব্যাক্তি তাদের পারিবারিক কবরস্থানের জায়গা বিক্রি করে দিয়েছে, কেউ বিক্রির চেষ্টা করছে। এনিয়ে প্রায়ই সালিশী হতে দেখা যায়।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;