শীতকালীন সবজির ভালো দাম থেকে বঞ্চিত, হাসি নেই সীতাকুন্ডের চাষিদের মুখে 

শীতকালীন সবজির ভালো দাম থেকে বঞ্চিত, হাসি নেই সীতাকুন্ডের চাষিদের মুখে 
শীতকালীন সবজির ভালো দাম থেকে বঞ্চিত, হাসি নেই সীতাকুন্ডের চাষিদের মুখে 

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।। 

সীতাকুন্ড উপজেলা সবজি চাষে চট্টগ্রামের শীর্ষ এলাকা। কিন্তু এবার আগাম চাষ করতে না পারায় শীতকালীন সবজির ভালো দাম থেকে বঞ্চিত চাষিরা। অথচ ফলন ভালো হয়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে দামের দিকে পোষাতে না পেরে মুখে হাসি নেই কৃষকের। তবুও থেমে নেই কেউ।

রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সীতাকুন্ড উপজেলার বারইয়ারঢালা গ্রামের কৃষক নুরুন্নবী (৫৬) ৫ জন শ্রমিক নিয়ে তার ফুলকপি ক্ষেতে কাজ করছিলেন । এসময় তিনি বলেন, এবার আগাম চাষ করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুইবার চারা রোপণ করতে হয়েছে। প্রায় দেড় কানি জমিতে ৮০ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়েছি। কিন্তু এখনো অর্ধেক খরচও উঠেনি। পুরো জমিতে ৭০ হাজার টাকাও উঠবে না। বাকি টাকা ও শ্রম সবই লোকসান।

এর কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আগাম সবজি আমাদের আগে বাজারে চলে এসেছে। আমরা আগে ফলন তুলতে পারলে দাম বেশি নিতে পারতাম। এখন চারদিক থেকে সবজি বাজারে উঠে যাওয়ায় দাম কম দিতে চাইছেন বেপারিরা।

একই কথা বললেন অপর সবজি চাষি প্রবীর কুমার দাশ (৫০)। কম খরচের জন্য নারী শ্রমিক নিয়েও পোষাতে পারছেন না বলে জানান তিনি।

কৃষক সফিউল আলম দুঃখ করে বলেন, এখন সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। পাইকাররা এখানেই চলে আসেন। কিন্তু চালানের সবজির আধিপত্যের জন্য স্থানীয় কৃষকরা প্রতিকূলতার শিকার হচ্ছে। এখানে একটি হিমাগার স্থাপন করা গেলে ন্যায্যমূল্য ও কৃষি পণ্য সংরক্ষণে অনেক সুবিধা পাওয়া যেত।

সীতাকুন্ড উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ উপ- সহকারী সুভাষ চন্দ্র নাথ বলেন, এবার উপজেলায় ৩০০০ হেক্টর জমিতে সিম , ৫০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ৩১০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। এছাড়া আলু, লাউ, বাঁধাকপি, মুলা চাষও হয়েছে।

তিনি জানান, প্রায় ৩৫০০০ হাজার কৃষক মৌসুমি সবজি চাষ করে থাকেন। বৃষ্টির কারণে এবার মৌসুমি সবজি চাষে ব্যাঘাত ঘটেছে। আগাম চাষ করতে না পারায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।