যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর মামলার কাগজপত্র চেয়েছে

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর মামলার কাগজপত্র চেয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীর মামলার কাগজপত্র চেয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরীর মামলার কাগজপত্র চেয়েছে । মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

মন্ত্রী বলেন, ’আমরা বলেছি আমরা আইনের শাসন চাই, সুশাসন চাই এবং এটা আপনারাও চান। আমাদের এখানে একটা ঝামেলা আছে। আমাদের জাতির পিতা খুনের পলাতক আসামি আপনাদের দেশে আছে। আমরা চাই তাকে ফেরত পাঠানো হোক। প্রত্যুত্তরে তারা বলেছে, তোমরা যে বিচার করেছো তার কাগজপত্র দাও।’

যুক্তরাষ্ট্র রাশেদ চৌধুরীর বিষয়ে এই প্রথম কোনও কাগজপত্র চেয়েছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ। এবারই প্রথম তারা তার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। ‘তারা বলেছে, কাগজপত্র দিলে আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবো এবং পরে (আমাদের অবস্থান) জানাবো,’ যোগ করেন তিনি।

এ বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা জানান তিনি।

মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা জানিয়েছি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজে আবে মিয়ানমারের অং সান সুচিকে এর সমাধান করার জন্য বলেছেন।’

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পাঠাতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে এলিস ওয়েলসের সঙ্গে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসময় আমরা জানিয়েছি, রোহিঙ্গাদের জোর করে সেখানে পাঠানো হবে না।

পরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস ওয়েলস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ বৈঠকে আমরা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য আমরা সবচেয়ে বেশি অর্থ দিচ্ছি। এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের রায় কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের দণ্ড কার্যকর হয়নি।