জিয়াউর রহমান কোন আইনবলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েও রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন ?-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

জিয়াউর রহমান কোন আইনবলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েও রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন ?-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
জিয়াউর রহমান কোন আইনবলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েও রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন ?-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে আমি বলতে চাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নয় মাস পাকিস্তানীদের আতিথিয়তায় ছিল এবং তিনি পাকিস্তানীদের ক্যান্টনমেন্টেই ছিল। সেখানে একে বারে নতুন বউয়ের আদরে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব আবিষ্কার করলেন যে খালেদা জিয়াও নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এ কথা বলার পর পুলিশের আইজি এবং ঢাকার পুলিশ কমিশনার এটির সমালোচনা করলেন। তখন ফকরুল সাহেব এবং বিএনপির অন্যান্য নেতারা পুলিশের আইজি এবং ডিএমপি কমিশনারকে নিয়ে সমালোচনা করলেন। একটি অসত্য উদ্ভট কথার জবাব দেওয়ার অধিকার দেশের প্রত্যেক নাগরিকের আছে। জিয়াউর রহমান সাহেব যদি সেনাবাহিনীর প্রধান হয়ে রাজনীতি করতে পারেন আবার রাষ্ট্রপতিও হয়ে যেতে পারেন। তাহলে পুলিশের আইজি এমন উদ্ভট কথার জবাবে যদি কিছু বলে থাকেন সেটি যথার্থই বলেছেন। আমার প্রশ্ন জিয়াউর রহমান দেশের কোন প্রচলিত আইনবলে সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েও, সেনাবাহিনীর ড্রেস পড়ে রাজনীতি করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।

আজ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি এসব কথা বলেন।

দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি কে গার্ড অব অনার প্রদান করার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পরে চট্টগ্রামের নবগঠিত ‘দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা’ ফিতা কেটে উদ্বোধন শেষে পরিদর্শন খাতায় মন্ত্রী স্বাক্ষর করেন।

সরকার বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে মির্জা ফখরুলের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা কোন কিছু হলেই বিদেশী রাষ্ট্রদুতদের ডেকে কথা বলেন। এমন কি মির্জা ফকরুল ইসলাম সাহেব চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসম্যানদের কাছে, বাংলাদেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করার জন্য। খালেদা জিয়া নিজের নামে নিবন্ধন লিখেছেন ‘ওয়াশিংটস টাইমসে’ বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা যাতে বাতিল করে। যারা কথায় কথায় বিদেশীদের কাছে দৌঁড় দেয় তারাই এ ধরণের উদ্ভট কথা বলতে পারেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আজ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়াবাসির জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটা দিন। আপনারা জানেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া কর্ণফুলী নদী দ্বারা রাঙ্গুনিয়ার অন্য অংশের সাথে বিভক্ত। এ এলাকায় ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। পুরনো রাঙ্গুনিয়া থানা থেকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ায় এসে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার যে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে কাজ করছে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা স্থাপন তার সবচেয়ে বড় প্রমান। আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছে, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। করোনাকালে দেশের বহু পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন, আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি এ এলাকার আইন শৃংখলা উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা যুগন্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

এসময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুসসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

খালেদ / পোস্টকার্ড ;