ভারী বর্ষণে জলে গেল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কার কাজ

ভারী বর্ষণে জলে গেল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কার কাজ
টানা ভারী বর্ষণে জলে গেল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১৪৫ কোটির কাজ

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

টানা ভারী বর্ষণে পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন অংশে। আর এসব গর্তের কারণে চট্টগ্রামমুখী এবং চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে যাওয়া যানবাহনগুলো চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে ধীরগতিতে গাড়ী চলায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী ও চালকেরা। বৃহস্পতি বার সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে । তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এবং বিভিন্ন গাড়ীর চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাঁরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাচ্ছেন ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশের প্রায় ৩৩ কিলোমিটার পথ বর্ষা শুরুর আগেই দামি পলিমার মোডিফাইড বিটুমিন (পিএমবি) দিয়ে সংস্কারকাজ করে তাঁরা।  ঈদের জন্য বন্ধ থাকলেও জুলাই এর প্রথম দিকে এ কাজ শেষ হয়। আর তাতে ব্যয় হয় প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। সাধারণ বিটুমিনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি স্থায়িত্ব পিএমবির। কিন্তু এক মাস না যেতেই বৃষ্টির থাবায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে যায়

সওজ জানিয়েছে, সংস্কারকাজ করার সময় মহাসড়কের পুরোনো অংশের ওপর নতুন করে দুই ইঞ্চির পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) দেওয়া হয়। তবে সংস্কারকাজ চলাকালে সড়কের যেসব স্থানে ভিত্তি (বেস) নষ্ট ছিল, সেসব স্থান চিহ্নিত করতে না পারায় পিএমবি দিয়েও লাভ হয়নি। ভিত্তি নষ্ট থাকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিরিক্ত ওজনবাহী যানবাহন চলাচলের কারণে এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার লতিফপুর পাকা রাস্তার মাথা  , সলিমপুর , পৌর শহরের উত্তর ও দক্ষিণ বাইপাস, বাড়বকুণ্ড, ভাটিয়ারী, মাদামবিবির হাট, বাংলাবাজার, ছোট কুমিরা, বড় কুমিরা বাইপাস, ফৌজদারহাট, বটতল, নুনাছড়া, ছোট দারোগারহাট ও বড় দারোগার হাট অংশের মহাসড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। সড়কের এসব স্থানের খানাখন্দে আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন বিকল হচ্ছে। এসব বিকল যানবাহন সরাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।

বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, বর্ষা শুরুর মাসখানেক আগে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড মহাসড়কের অধিকাংশ রাস্তা সংস্কারকাজ করে সওজ। সে সময় মহাসড়কজুড়ে তীব্র যানজটের দুর্ভোগ কমাতে সওজ বিরামহীন কাজ করে। কিন্তু কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে সংস্কারকাজ করা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পিচঢালাই উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সংস্কারবিহীন অবশিষ্ট পথের অবস্থা আরও শোচনীয়। কয়েক দিন ধরে খানাখন্দে যানবাহন আটকে যাচ্ছে, বিকল হচ্ছে বিভিন্ন গাড়ী। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কজুড়ে সৃষ্ট গর্ত সওজ মেরামত না করে, তাহলে যে কোনো মুহূর্তে সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি ।

সওজের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, মঙ্গলবার থেকে মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড, কুমিরা ও ভাটিয়ারী অংশে খানাখন্দ ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে দ্রুত সংস্কারকাজ করা হবে বলে জানান তিনি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;