ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে সীতাকুণ্ডে পানি ঢুকে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত

ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে সীতাকুণ্ডে পানি ঢুকে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত
ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে সীতাকুণ্ডে পানি ঢুকে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সীতাকুণ্ডে তেমন বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও দমকা বাতাস ও ভারি বৃষ্টিপাতে কিছু গাছপালা ও ঘর-বাড়ি উপড়ে গেছে। এতে ৬ ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ভাঙা বেডিবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে পাঁচ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান- এই খবরে সীতাকুণ্ড উপকূলীয় এলাকার ৪০ হাজার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। আম্ফানের প্রভাবে জোয়ারের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের উপকূল প্লাবিত হয়েছে। বেডিবাঁধ না থাকায় সেখানে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। কুমিরা ফেরিঘাট থেকে সোনাইছড়ি দক্ষিণ ঘোড়ামারা এলাকায় অন্তত আড়াই কিলোমিটারের বিভিন্ন অংশে বেড়িবাঁধ নেই। বুধবার বিকালে জোয়ারে কুমিরার জেলে পাড়া, আকিলপুর, জোরামতল, ঘোড়ামরা ও দক্ষিণ ঘোরামরা গ্রামের উপকূল প্লাবিত হয়। এছাড়া দমকা হাওয়ায় উপজেলার কুমিরা, সোনাইছড়ি, সৈয়দপুরে ইউনিয়নের বিভিন্নস্থারে গাছ উপড়ে পড়ে অন্তত ৬ ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বিকালে কুমিরা ফেরিঘাট পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এ জেড এম শরীফ হোসেন।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল উপজেলা প্রশাসনের। দমকা বাতাসে গাছের ডালপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে। তা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দুর্বল করতে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে পাহাড় ও ভূমি ধসের আশংকায় স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।