পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই- মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি

পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই- মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি
পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই- মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলাধীন জঙ্গল সলিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাহাড় দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জহিরুল হক বলেছেন, দেশের উন্নয়নে সরকার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহহমানের গৃহীত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা সবসময় সরকারের পক্ষে ছিলাম, এখনো আছি। কিছু দরিদ্র ও অসহায় মুক্তিযোদ্ধা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য আমরা যথাযথ নিয়ম মেনেই সরকারের কাছে ২১ একর জমি চেয়ে আবেদন করেছি। সরকার যদি মনে করে আমাদের দেওয়া উচিৎ তাহলে দিবে, আর যদি উচিৎ মনে না করে তাহলে দিবেনা, এতে আমরা সরকার বা প্রশাসনে বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কোন কারন নেই।

আমরা এদেশর কল্যাণের জন্যই ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সসস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, আজ তাঁরই কণ্যার নেতৃত্ব উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত হয়েছে আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা। বাস্তবায়নের পথে এগুচ্ছে জাতির জনকের স্বপ্ন। আমরা সেই মহৎ কাজের বিরুদ্ধে কখনোই যেতে চাইনা। আমরাই প্রথম জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছিলাম। শনিবার (১ অক্টোবর) মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির নামে বরাদ্দের জন্য আবেদিত জায়গা পরিদর্শনকালে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তিন এসব কথা বলেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন আমরা অনেক ভাগ্যবান যে শেখ হাসিনার মতো একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছি, আপনারা জানেন তিনি কোন অন্যায় সিদ্ধান্ত নিবেননা। দেশের ও দেশের মানুষের কল্যাণে তিন সবসময় নিজেকে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। আমরা আশা করব ৩১ শ একর জমির মধ্যে আমাদের চাহিত মাত্র ২১ একর জমি আমাদের বরাদ্দ দিবেন, আর দেশের বৃহত্তর স্বার্থে যদি নাও দিতে পারেন তবু আমরা তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, আমরা সরে যাব।

মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসানুল আলম মিথুন বলেন, ১২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার আমাদের সংগঠনের সাথে জড়িত। আমরা জঙ্গল সলিমপুর মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের ৩৫৩, ৩৫৪,৩৫৫,৩৬০ দাগের মধ্যে থেকে ২১ একর জায়গা বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। আমাদের ফাইলটি বর্তমানে আদেশের জন্য ভূমি মন্ত্রনালয়ে আছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি অবগত আছেন। তবুও সরকার বা প্রশাসন যদি মনে করে আমরা চলে গেলে প্রকল্পের জন্য ভালো হবে তবে আমরা চলে যাবো। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি তাঁদের বিবেচনায় রাখার জন্য আমাদের বিশেষ অনুরোধ থাকবে।

মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি মো.আউয়াল ও পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন । পরে তাঁরা বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন ৬ নং ব্রিজের পূর্ব পাশে সংগঠনের দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। এই সময় মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটির নেতৃবৃন্দ আরো বলেন জঙ্গল সলিমপুর নিয়ে সরকার যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এই মহাপরিকল্পনাকে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন সেগুলোকেও আমরা সাধুবাদ জানাই। সম্প্রতি জেলা প্রশাসককে নিয়ে একটি মহলের করা চক্রান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে চক্রান্তকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীও জানান তাঁরা।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;