নিলাম অযোগ্য কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস! 

নিলাম অযোগ্য কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস! 
নিলাম অযোগ্য কন্টেইনার পণ্য ধ্বংস করবে কাস্টমস! 

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা নিলাম অযোগ্য ৮৫ কন্টেইনার পণ্য ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ধ্বংস করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

গত ১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পাওয়া এসব পণ্য চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় এই ধ্বংস কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, ধ্বংসযোগ্য কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড এবং কয়েকটি বেসরকারী অফডকে রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংসের জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় এবার সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ডাম্পিং স্পেসের পাশের খালি জায়গাটি নির্বাচন করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস নিলাম শাখার দায়িত্বে থাকা ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন গণমাধ্যমকে বলেন, হালিশহর আনন্দবাজারে প্রায় ৫ একর জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করে ওই জায়গা খুঁড়ে মাটিচাপা দেওয়া হবে। যার ফলে কোনপ্রকার পরিবেশের ক্ষতি ও দুর্গন্ধ ছড়ানোর সুযোগও থাকবে না। এই ধ্বংস কার্যক্রম শেষ হতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে।

প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কন্টেইনারের পণ্য গুলো কাস্টমস শুল্কায়নে বিভিন্ন জটিলতার কারণে আমদানিকারক যথাসময়ে খালাস নাপারায় কারণে নিলামযোগ্য হয়ে পড়ে , তাছাড়া শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়েও আটক করা হয় এসব পণ্য । নিয়ম অনুযায়ী তাদের ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।

নিলাম যোগ্য এসব পণ্য দীর্ঘদিন বন্দরে পড়ে থাকার কারণে পণ্যের মেয়াদ উত্তীর্ন হয়ে যায়, কিংবা পচে নষ্ট হয়ে গেলে কাস্টমস সেগুলো ধ্বংস করে ফেলে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;