টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে ১৮ স্থাপনা পুড়ে ছাই

টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে ১৮ স্থাপনা পুড়ে ছাই

টেকনাফ প্রতিনিধি।।

উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং রইক্ষ্যং পুঁটিবনিয়া ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এই অগ্নিকাণ্ডে লার্নিং সেন্টার, কয়েকটি চাকমা ও রোহিঙ্গাদের বসত-ঘর, দোকান ও হাসপাতালসহ ১৮টি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে শিশুসহ ২ জন আহত হয়।  ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কমপক্ষে ১০ রোহিঙ্গা বসতি।
জানা যায়, আজ বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং উনছিপ্রাংয়ের ২২নং রইক্ষ্যং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেলিগেশন-১ পয়েন্ট এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে উপস্থিত রোহিঙ্গা, চাকমা গোষ্ঠী এবং ক্যাম্প প্রশাসনের লোকজন চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পূর্বেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত আইআরসি হাসপাতাল, মুক্তি ও কোডেক পরিচালিত ৬টি লার্নিং সেন্টার, ৫টি চাকমা ঘর ও ৪টি রোহিঙ্গা বসতি, ২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডের আতংকে আরো ১০টি রোহিঙ্গার ঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময় ৪০ বছরের এক যুবক ও ৬ বছরের এক শিশু সামান্য আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কেউ অফিসের ময়লা পোড়ানোর সময়, আবার অনেকে চাকমা বসতির রান্নাঘর হতে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ক্যাম্পে নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রফিক অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের লার্নিং সেন্টারসহ বেশকিছু ঘর আগুনে পুড়ে  গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ এক হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।