জেলেদের প্রবেশে নিষেধ সীতাকুণ্ডের ফুলতলা বাজারে 

জেলেদের প্রবেশে নিষেধ সীতাকুণ্ডের ফুলতলা বাজারে 
জেলেদের প্রবেশে নিষেধ সীতাকুণ্ডের ফুলতলা বাজারে 

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ফুলতলা কাঁচা বাজারটি দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বহু বছরের পুরানো এই বাজারটি ইউনিয়নের ৩, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একমাত্র কেনাকাটার স্থান। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয়, এতে কোন জেলে সম্প্রদায় মাছ বিক্রি করতে পারে না। এখানে যেন অলিখিত নিয়ম, জেলেরা প্রবেশ করতে পারবে না এবং সাগরের মাছও বিক্রি করতে পারবে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজারে ৪ জন মাছ বিক্রেতার একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদের বাইরে আর কেউ মাছ বিক্রি করতে পারে না। তাদের ভয়ে এলাকার কারও মুখ খুলার সাহস নেই। অপরদিকে জেলেরা তো একেবারেই অসহায়। ওই ৪ মাছ বিক্রেতার কাছে সবাই জিম্মি। ফলে তাদের কাছ থেকেই অতিরিক্ত দামে মাছ কিনতে বাধ্য হন সাধারণ ক্রেতারা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জেলে বলেন, 'ফুলতলা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রবেশ করতে পারি না, মাছও বিক্রি করতে পারি না। আমাদের প্রবেশে কড়া নিষেধাজ্ঞা। বহুবছর ধরে এই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় ৪ জনের এক সিন্ডিকেট। তাদের বাইরে আর কেই বাজারে মাছ বিক্রি করতে পারে না। ফলে এলাকার কেউ সাগরের মাছ কিনতে পারে না। আমরা সাগর থেকে যে মাছ ধরি তা নিজেদের বাজারে বিক্রি করতে পারি না। দূরে কোথাও নিয়ে বিক্রি করতে হয়। গ্রামের কারো কাছে বিক্রি করলেও তারা আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে।'

এসব বিষয়ে জানতে ফুলতলা বাজারের ইজারাদার লিটনকে ফোন দিলে তিনি বলেন, 'আমি বাজার ইজারা নেওয়ার পর থেকে চাচ্ছি যে, জেলেরা প্রতিদিন সাগর থেকে মাছ ধরে ফুলতলা বাজারে এসে বিক্রি করুক। কিন্তু ওরা একদিন আসলে দুইদিন বার আউলিয়া ও ভাটিয়ারি বাজারে চলে যায়। এখানে জেলেরা আসলে আমিই বেশি উপকৃত হব, কারণ আমার হাসিল বেশি আসবে। সিন্ডিকেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সিন্ডিকেট আমি ইজারা নেওয়ার আগে ছিল।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;