চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ১৪৪ করোনা রোগী শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ২৭ হাজার ৫৫৬ জন

চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ১৪৪ করোনা রোগী শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ২৭ হাজার ৫৫৬ জন
চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ১৪৪ করোনা রোগী শনাক্ত, মোট আক্রান্ত ২৭ হাজার ৫৫৬ জন

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

নতুন করে চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪৪ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) ১ হাজার ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৫৫৬ জনে।

এই দিন চট্টগ্রামে করোনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামে ৫টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়।  

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৫৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় ২৯ জন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।

ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১১৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১ জন, এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন।  

তবে এইদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

অন্যদিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে মোট করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে ১৪৪ জনের। এরমধ্যে ১০৯ জন নগরীর এবং ৩৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর পাঁচটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৪৪ জন পজিটিভ হয়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৯ জন ও দশ উপজেলার ৩৫ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ২৭ হাজার ৫৫৬ জন। এর মধ্যে শহরের ২১ হাজার ৪৮ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৫০৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ৯ জন, হাটহাজারীতে ৭ জন, চন্দনাইশে ৫ জন, ফটিকছড়িতে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকুন্ডে ৩ জন করে এবং মিরসরাই, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।