এবার সীতাকুণ্ডে ৯ বছরের শিশু ধর্ষিত, দেড়মাসে ধর্ষণের শিকার ৪ জন 

এবার সীতাকুণ্ডে ৯ বছরের শিশু ধর্ষিত, দেড়মাসে ধর্ষণের শিকার ৪ জন 
এবার সীতাকুণ্ডে ৯ বছরের শিশু ধর্ষিত, দেড়মাসে ধর্ষণের কবলে ৪ 

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

এবার সীতাকুণ্ডে ধর্ষিত হয়েছে ৯ বছরের এক শিশু। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে টেলিভিশন দেখানোর কথা বলে পার্শ্ববর্তী কিশোর দ্বারা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়।

সীতাকুণ্ডে গত দেড়মাসে ৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ৩টি ঘটনায় কম বয়সী শিশুরা ধর্ষণের শিকার হয়। এসব ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ , ১ জনকে এখনো পুলিশ আটক করতে পারেনি, ১ টার এখনো কোন মামলা হয়নি এবং অন্যটি বিয়েতে সমাধান হয় ।

সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের আনসার ভিডিপি’র প্রশিক্ষক দ্বারা বারবার ধর্ষণের শিকার হয়ে গত (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক নারী সদস্য অভিযোগ করে। ওই নারী সদস্য অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের প্রলোভন ও চাকুরির আশ্বাসে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে উপজেলা আনসার-ভিডিপির প্রশিক্ষক হাফিজুল করিম। পরে প্রশিক্ষককে আটকের পর সন্ধ্যায় ধর্ষিতার সাথে বিয়ে পরিয়ে দেন আনসার অফিস কর্মকতার্রা।

এ ঘটনার পরপরই গত ৬ মার্চ উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের আমজাদ আলী সারাং বাড়িতে আপন মায়ের সহায়তায় শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অর্থের লোভে ধর্ষণের সুযোগ করে দেন শিশুটির মা ফাতেমা। এ ঘটনায় শিশুর মা ফাতেমা ও ধর্ষক ইব্রাহিমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ।

এ ঘটনার ৪ দিন পর উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের উকিল পাড়া গ্রামে গৃহশিক্ষক দ্বারা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। গত ১৩ মার্চ ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে এলাকা ছেড়ে পালায় ওই গৃহশিক্ষক। কিশোরীর মা জানান, আমার মেয়ে নবম শ্রেণী পড়াশোনা করে। মেয়েকে বাড়িতে এসে প্রাইভেট পড়াতো গৃহশিক্ষক সাজ্জাদ। সে পড়ানোর সুযোগে মেয়েটিকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে সাজ্জাদ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিয়ে করবে বলে প্রায় সময় শারীরিক সম্পর্ক করতো। এদিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাজ্জাদ চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পড়ানো বন্ধ করে দেয়।

এসব ঘটনার রেশ কাটতেই ১০ দিনের মাথায় উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের এসকেএম জুট মিল সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় ধর্ষণের কবলে পড়ল ৯ বছরের এক শিশু।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে টেলিভিশন দেখানোর কথা বলে পার্শ্ববর্তী কিশোর দ্বারা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। এ সময় শিশুর চিৎকার শুনে বিবস্র অবস্থায় শিশুকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকজন। ধর্ষক শাহিন (১৬) দিনমজুর নিজাম উদ্দিনের পুত্র।

জানা যায়, ধর্ষক ও ধর্ষিতা উভয়ে মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমত নগর গ্রামের বাসিন্দা। এই দুই পরিবার অস্থায়ীভাবে এসকেএম জুট মিল এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ইয়াসিন শাহ (রা.) মাজারের পশ্চিম পাশে বসবাস করছে বলে জানান মুরাদপুর ইউনিয়নের মেম্বার মো. কামাল উদ্দিন।

এসব বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপোস-মিমাংশার প্রেক্ষিতে অভিযোগ না থাকায় আনসার সদস্যকে আটক করা হয়নি। তবে, বিয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেন অফিস কতৃপক্ষ।

এদিকে, ভাটিয়ারী এলাকায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মা ও ধর্ষককে আটকের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, সাজ্জাদ নামে এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে গতকাল (২২ মার্চ) মঙ্গলবার শিশু ধর্ষণের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;