ইপিজেডভুক্ত পোশাক খাতের ২০২০-২১ অর্থবছরে জাতীয় রফতানির সব ট্রফি পাচ্ছে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ
বিশেষ প্রতিবেদন।।
ইপিজেডভুক্ত পোশাক খাতের ২০২০-২১ অর্থবছরে জাতীয় রফতানির সব ট্রফি পাচ্ছে প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপ । রফতানি আয়ের ভিত্তিতে সেরা রফতানিকারক হিসেবে ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ সবকটিতেই ট্রফি পাচ্ছে চট্টগ্রামের প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের তিন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তৈরি পোশাক খাতের এ শিল্পগ্রুপ ধারাবাহিকভাবে রফতানির জন্য পুরস্কার পেয়ে আসছে ।
গত ২৫ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা ওই গেজেটে বলা হয়েছে, সেরা রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইপিজেডভুক্ত শতভাগ বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে (নিট ও ওভেন) বঙ্গবন্ধু রফতানি ট্রফি (স্বর্ণ) পাচ্ছে ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেড। এছাড়া একই ক্যাটাগরিতেই বঙ্গবন্ধু রফতানি ট্রফি (রৌপ্য) পাচ্ছে প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড ও বঙ্গবন্ধু রফতানি ট্রফি (ব্রোঞ্জ) পাচ্ছে এনএইচটি ফ্যাশন লিমিটেড। এই ক্যাটাগরিতে সবকটি ট্রফি পাওয়া তিন প্রতিষ্ঠানই চট্টগ্রাম ইপিজেডে অবস্থিত প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
প্যাসিফিক জিন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, প্যাসিফিক জিন্সের প্রতিষ্ঠাতা আমার পিতা মরহুম মো. নাছির উদ্দিনের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমার পিতার সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছি উৎপাদিত পণ্যে বৈচিত্র্য আনার। প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত গবেষণা এবং উদ্ভাবন কার্যক্রমে অর্থ ব্যয় ও মনোযোগী থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন , উৎপাদন ব্যবস্থাকে গ্লোবাল লাইফ সলিউশন বেজড করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ব্যবসার পরিসর বাড়লেও ব্যাংক কিংবা আর্থিক কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে কোনো দায় না রেখেই কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি। বিশ্ববাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরির সক্ষমতায় এগিয়ে যেতে হবে বাংলাদেশকে। তিনি ভবিষ্যতেও এই ধারা ধরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত ; এবার মোট ৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান করা হচ্ছে।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;