আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট, তবে প্রধান সমস্যা দুর্নীতি ও বৈষম্য - যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই এর জরিপ

আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট, তবে প্রধান সমস্যা দুর্নীতি ও বৈষম্য - যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই এর জরিপ

পোস্টকার্ড ডেস্ক।।

বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে সন্তুষ্ট বলে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক খ্যাতিমান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এর সাম্প্রতিক এক জরিপে দাবী করা হয়েছে ৷ যদিও ২০১৮ এর নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো প্রশ্ন উঠেছিলো কিন্তু আইআরআই’র করা সেই জরিপে এর কোন প্রভাব দেখা যায়নি৷ তবে এই জরিপে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হিসেবে দুর্নীতি ও বৈষম্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের বছর পূর্তিতে প্রকাশিত সংস্থাটির জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সরকারের প্রতি সমর্থন এক বছরে অনেকাংশ বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে বিরোধী দলের জনপ্রিয়তা।

২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পর পর আরো দুটি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছে। জরিপ অনুযায়ী সরকারের প্রতি সমর্থন বিগত জরিপের চেয়ে ১৯ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে এখন ৮৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আইআরআইর এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক জোহানা কাও বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার সাফল্য, বিশেষ করে অবকাঠামো উন্নয়ন, সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তুলেছে।’ রেডস্টোন সাইন্টিফিকের তত্ত্বাবধানে আইআরআই বিগত বছরের (২০১৯ সাল) ১ অগাস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির নেতা জন ম্যাককেইনের নেতৃত্বে পরিচালিত আইআরআইকে ডানপন্থিদের একটি হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করেন অনেকে।

সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপকে সমর্থন করছে ৯০ শতাংশ নাগরিক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৮৬ শতাংশ এবং যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ৮১ শতাংশ। এ ছাড়াও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ৭৭ শতাংশ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ৭৬ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে ৭৪ শতাংশ এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্র ৭১ শতাংশ সরকারের কার্যক্রমকে সমর্থন জানিয়েছেন।

এদিকে, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৭৬ শতাংশ মনে করেন বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে। আর ৩১ শতাংশ জানিয়েছেন, দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তাদের জীবনে। দেশকে পিছিয়ে দেয়ার আরেকটি কারণ হিসেবে তারা বৈষম্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৬১ ভাগ মানুষ মনে করেন ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। ২০১৮ সালের তুলনায় ৫৮ ভাগ নাগরিক এই বিষয়ে নিজেদের দুশ্চিন্তার কথা জানান।