অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে সীতাকুণ্ডের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক কর্মচারী

অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে সীতাকুণ্ডের কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক কর্মচারী
অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে সীতাকুণ্ডের কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক কর্মচারী

মোঃ আলাউদ্দীন, সীতাকুন্ড ।।

প্রাণঘাতী মহামারী করোনার কারণে সারাদেশের মত সীতাকুন্ডের বেসরকারী কিন্ডারগার্টেন গুলোর পরিচালক, শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের করুণ দশায় পরিণত হয়েছে। গত ১৬মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সাথে কিন্ডারগার্টেন গুলোও বন্ধ ঘোষনা করা হয়।

সীতাকুণ্ড উপজেলায় প্রায় ৬২টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে ৫৩৩ জন স্কুল গুলোর অফিস সহকারী,গাড়ির ড্রাইভার আয়া সহ প্রায় ২৫৫ জন সব মিলে মোট আট শতাধিক।

বেশীর ভাগ স্কুল ভাড়া ভবনে পরিচালিত হয়ে হয়ে আসছে।একদিকে স্কুল বন্ধ অন্যদিকে প্রতিমাসে ভাড়া দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এদিকে শিক্ষকদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্কুল মালিকরা।

সীতাকুণ্ড কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর সভাপতি মোহাম্মদ কায়সারুল আলম জানান এই দূর্যোগ মুহুর্তে সরকারের সহযোগীতা না পেলে অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই করোনা মহামারিতেও আমারা অনেকেই অনলাইনে পাঠদান অব্যহত রেখেছি।

জাতি গঠনে এই কে.জি স্কুলের শিক্ষকরা বিরাট ভুমিকা রেখে চলেছেন। এই সংকটময় মূহুর্তে বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক কে.জি স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতি শীল ও সুদৃষ্টি না দিলে এই মানুষ গড়ার কারিগর গুলো কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সীতাকুন্ডের এমপি মহোদয়/উপজেলা চেয়ারম্যান ইউএনও / শিক্ষা অফিসার সহ সকলে মিলে সরকারী ভাবেএই মানুষ গড়ার কারীগর গুলোর সম্মানী ভাতা ও সরকারী খাদ্য সহায়তা দিয়ে তাদেরকে বাঁচতে সাহায্য করার জন্য আমি দাবী জানাচ্ছি।

এসোসিয়েশন এর সেক্রেটারি ডাক্তার সজল জানান আমরা অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছি। এসময়ে আমাদের পাশে দাঁড়াতে সীতাকুণ্ডের ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে সরকারের কাছে জোরদাবী জানাচ্ছি।

তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ইউএনও মহোদয় বরাবর একটি আবেদনও করেছে স্কুল গুলোকে সহায়তা করার জন্য। এদিকে এসোসিয়েশন এর প্রধান উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম ওয়াহিদী জানান কিন্ডারগার্টেন গুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারের নীতি নির্দারক গণের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ দিদারুল আলম দেশের সকল কে.জি স্কুলের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আবেদন করেছে তা সীতাকুণ্ড কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দরাও সমর্থন করছে।