সরকারকে রাস্তায় নামানোর কথা বলেছেন ড. কামাল অথচ তারা নিজেরাই রাস্তায় পড়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী

সরকারকে রাস্তায় নামানোর কথা বলেছেন ড. কামাল অথচ তারা নিজেরাই রাস্তায় পড়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
সরকারকে রাস্তায় নামানোর কথা বলেছেন ড. কামাল অথচ তারা নিজেরাই রাস্তায় পড়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ড. কামাল হোসেন যেভাবে সরকারকে টেনে রাস্তায় নামানোর কথা বলেছেন, তাতে সরকারকে নামানো তো সম্ভবই নয় বরং তারা নিজেরাই রাস্তায় পড়ে গেছেন। যেখান থেকে তারা আর উঠে দাঁড়াতে পারছেন না।’

আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন যে মাপের লোক, তার মুখ দিয়ে এরকম কথা বলাটা মোটেই শোভা পায় না। এরপরেও তিনি এমন কথা বলেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. কামাল হোসেন সমাবেশে যেভাবে কথা বলেছেন, তাতে তারা আইন ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়েছেন। কারণ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার সরকারের নেই। এটি তারা ভালো করেই জানেন। এরপরেও তারা এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। কারণ তারা আইন ও আদালত মানেন না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষোভ সমাবেশ তারা করতেই পারেন। তবে ভাষাগুলোর ব্যাপারে আরও সংযত হওয়া দরকার।’

এর আগে হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) আয়োজনে ৮ বিভাগের ২৪ জন সাংবাদিকের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন উপলক্ষে পিআইবির সম্মেলন কক্ষে এক বক্তব্যে বলেন, ‘পৃথিবীর আর কোনো জনবহুল দেশ নেই যেখানে বছরের প্রথম দিনে ৩ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়া হয়, আর কোনো দেশ নেই যেখানে দেড় কোটি মায়ের মোবাইল ফোনে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছে যায়, যেখানে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

প্রশিক্ষণরত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা বাসসের সাংবাদিক। আপনারা নাগরিকদের হতাশাগ্রস্ত তথ্য দেবেন না। কারণ হতাশাগ্রস্ত তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। আশাবাদী তথ্য প্রচার করে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেবেন। দেশের অগ্রগতির কথাগুলো মানুষকে জানাবেন। মানবিক হওয়ার কথাগুলো লিখবেন। সমাাজের অসঙ্গতি ও সুবিধাবঞ্চিত লোকদের কথাগুলোও বলবেন এবং তুলে ধরবেন। আগামী দিনে একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে আপনারা কাজ করবেন।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফীন সিদ্দীক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব রেজাউল হাসান, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।