সীতাকুন্ডে চালু হচ্ছে না দুটি সড়কের পূন-নির্মাণ কাজ , প্রকৌশলীর হেয়ালীপনায় জনভোগান্তি চরমে

সীতাকুন্ডে চালু হচ্ছে না দুটি সড়কের পূন-নির্মাণ কাজ , প্রকৌশলীর হেয়ালীপনায় জনভোগান্তি চরমে
প্রতিকী ছবি

পোস্টকার্ড প্রতিবেদক ।।

সীতাকুন্ডে চালু হচ্ছে না নিন্ম মানের ইট-বালি, কংক্রিট ব্যবহারের অভিযোগে বন্ধ হওয়া সিরাজ ও আবদুসচ্চাত্তার সড়কের পূন-নির্মান কাজ। গত কয়েক বছর পূর্বে নানা অভিযোগে কাজ বন্ধ হওয়ার পরও পূনরায় কাজ শুরুর নেই কোনো উদ্যোগ। ফলে রাস্তা দুটি সম্পূর্ন রুপে চলাচলের অযোগ্য হয়ে জন ভোগান্তি চরম আকার ধারন করেছে। অথচ দীর্ঘ বছর রাস্তা দুটির কাজ বন্ধ থাকলেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে উদাসীন উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়।
১ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের সিরাজ সড়কটি ব্যবহারের অনুপোযাগী হয়ে পড়ায় ২০১৭ সালে পূন-নির্মাণ কাজ শুরু করে নিপা কন্সট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়ক তৈরীতে ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ পেয়ে শুরুতে কাজে অনিয়ম করতে থাকে ঠিকাদার। নিন্ম মানের ইট-বালি ও মাঞ্জার পাশাপাশী পুরাতন রাস্তার অংশ বিশেষ ব্যবহার হওয়ায় মেগাড়ম হয়ে পড়েছে ধুলী কণায়। এছাড়া লেভেল প্লেয়িংয়ে খালের নিন্ম মানের বালি ব্যবহারে সড়কজুড়ে তৈরী হয়েছে উচু-নিচু টিলা। এ অবস্থায় রাস্তার স্থায়ীত্ব নিয়ে এলাকাজুড়ে উঠে সমালোচনার ঝঁড়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজ পরিদর্শন শেষে মান ঠিক রেখে কাজ করার নির্দেশ দিলে বন্ধ হয়ে পড়ে রাস্তার কাজ। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকা রাস্তা সম্পূর্ন চলাচলের অযোগ্য হয়ে জন ভোগান্তির কারন হয়ে দাঁড়িছেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দারা বলেন,‘ সড়ক নির্মানের শুরুতে নিন্ম মানের ইট, কাঁদাযুক্ত খালের বালি এবং মাঞ্জাযুক্ত কংক্রিটে কাজ করেছে ঠিকাদার। চরম দুরবস্থায় কাজ চললেও তদারকির প্রয়োজন মনে করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। এ পরিস্থিেিত স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিলে কাজ পরিদর্শর করে মান ঠিক করে কাজ করার নির্দেশ দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। কিন্তু এ নির্দেশের পর থেকে এক বছর ধরে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানান তারা।
একইভাবে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে অসম্পূর্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে মুরাদপুর ইউনিয়নের আবদুস সাত্তার সড়ক নির্মান কাজ। এল,জি,ই,ডি অফিসের হেয়ালীপনায় রাস্তার নির্মান মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। এ অবস্থায় পদক্ষেপ গ্রহনে ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কার্যকর ভূমিকা দেখা না গেলেও তথ্য প্রদানে অপরাগত দেখান উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গির আলম।
তিনি বলেন,‘ কাজের মানের ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্ছুতি তো থাকবে। শতভাগ নির্দেশনা মোতাবেক কাজ আদায় করা কখনও সম্ভব না। ঠিকাদারদের অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করলে কাজ ফেলে চলে যাই। যে কারনে কাজের মান নিয়ে যারা অভিযোগ করছে, তাদেরকেই এখন কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।