সীতাকুন্ডে মহাসড়কে থামছে না মৃত্যু মিছিল, ১ মাসে সড়ক কেড়ে নিয়েছে ডাক্তার, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য তাজা প্রাণ

সীতাকুন্ডে মহাসড়কে থামছে না মৃত্যু মিছিল, ১ মাসে সড়ক কেড়ে নিয়েছে ডাক্তার, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য তাজা প্রাণ
সীতাকুন্ডে মহাসড়কে থামছে না মৃত্যু মিছিল, ১ মাসে সড়ক কেড়ে নিয়েছে ডাক্তার, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য তাজা প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক,সীতাকুন্ড।।

সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কোনোভাবেই থামছে না মৃত্যুর মিছিল। দারগারহাট হতে সিটি গেইটের ৩৭ কিলোমিটার পথে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। ক্রমগত দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকায় ঝুকিপূর্ন সড়কে পরিনত হয়েছে এই মহাসড়ক। নানা অনিয়ম, বেপোরোয়া গতি এবং ওভার টেকিংয়ের কারনে দুর্ঘটনা বেড়ে চললেও দুর্ঘটনা রোধে নেই কোনো ব্যবস্থা। ফলে মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল চলতে থাকায় আতংকিত হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ।

ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নিত হওয়ার পর থেকে সড়ক দুর্ঘটনা হতে মুক্তি পাওয়ার আশা করেছিল জনগন। কিন্তু সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হওয়ায় হাজার কোটি টাকার সড়ক হয়ে উঠেছে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর অন্যতম মাধ্যম। এ অবস্থায় প্রতিদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এক মাসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে বহু মূল্যবান তাজা প্রাণ।

বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, ভাটিয়ারী এলকায় পাম্প হতে তেল আনতে যাওয়ার পথে বাসের নিচে পিষ্ট হয়ে মোটার সাইকেল আরোহী মৃত্যু হয়। এ ঘটনার কয়েকদিনের মাথায় বাঁশবাড়িয়া এলাকায় দ্রুতগামী পাথর বাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে মৃত্যু বরন করে চালকসহ ৩জন। পরে  সোনাইছড়ি এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু ঘটনার পরদিন সলিমপুর ফকিরহাট ওভারব্রীজ হতে নিচে ছিটকে পড়ে ট্রাক ও লরি। এ ঘটনায় ১০ জন হতাহতের পাশাপাশী মালামালের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এ সড়কে চলাচলে আতংকিত হয়ে পড়েছে সর্বসাধারন।

স্থানীয়দের অভিযোগ,  সড়কে দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় রাস্তায় বের হলেই আতংকগ্রস্ত থাকে পরিবার। অথচ সড়কে প্রতিদিন প্রাণ হারালেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে ভূমিক নেই প্রশাসনের। যে কারনে বেপোরোয়া গতিতে চলছে যানবাহন। দুর্ঘটনা ঘটলে মৃতদেহ ও গাড়ির উদ্ধার করে প্রশাসন কর্তব্য কাজ সারছেন বলে জানান তারা।

সড়কে দুর্ঘটনার পাশাপাশী প্রতিনিয়ত চলছে যাত্রী হয়রানি ও র্দুব্যবহার। সড়কের সীতাকুন্ড অংশে ক্রমাগত দুর্ঘটনা বেড়ে চলায় যাত্রী দূর্ভোগ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

এ বিষয়ে বারআউলিয়া ওসি ইনচার্জ  আবদুল আউয়াল বলেন, বেপোরোয়া গতি, উল্টো পথে চলা এবং ওভার টেকিংয়ের কারনে দুর্ঘটনা বেড়ে সড়কে। রাতে ঘটিত দুর্ঘটনার অধিকাংশ ঘুমের ঘোরে গাড়ি চালনরায় ঘটে। আর সড়কে ফিটনেস বিহীন গাড়ি বন্ধ করা না গেলে সড়কে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব না বলে জানান তিনি।