সীতাকুন্ড থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে নিহত চম্পাকে ধর্ষণের পর গাড়ি থেকে ফেলে দেয় সিএনজি চালকরা, আটক ১

সীতাকুন্ড থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে নিহত চম্পাকে ধর্ষণের পর গাড়ি থেকে ফেলে দেয় সিএনজি চালকরা, আটক ১

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।

সীতাকুন্ড ফুফু'র বাড়ী থেকে কক্সবাজার নিজ বাড়ী যাওয়ার পথে নিহত চম্পাকে ধর্ষণের পর চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয় সিএনজি চালকরা।

চট্টগ্রাম থেকে পেকুয়া, সেখান থেকে চকরিয়া কয়েকদফা ধর্ষণের শিকার হয়েছে চকরিয়ায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা খরুলিয়ার যুবতী চম্পা (১৯) কে। তারপর ঘাতকরা চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে হত্যা করে তাকে। এঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-১৫।

শুক্রবার (৮ মে) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৫’র অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে আসা ওই নারী পেকুয়া পর্যন্ত আসে। সেখান থেকে এক সিএনজি চালক তাকে চকরিয়া আনে। কিন্তু পুনরায় আবারও পেকুয়ার দিকে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে একটি ব্রিজের সাইটে তাকে দুই সিএনজি চালক মিলে ধর্ষণ করে। এরপর তার সাথে কথা কাটাকাটি হলে তাকে চলন্ত গাড়ী থেকে ফেলে দেয়া হয়।

তিনি আরও জানান, ঘাতকরা এতো নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যে চলন্ত গাড়ির থেকে ফেলার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি গাড়ীর সামনে ফেলে দেয় তারা। ওই গাড়ীর ধাক্কায় মৃত্যু হয় চম্পার। এ ঘটনায় জড়িত জয়নাল নামে এক সিএনজি চালককে আটক করা হয়েছে। অপরজনকে আটকে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ৬ মে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়ন এলাকার বিশ্ব রোডে চলন্ত গাড়িতে হত্যা করে রাস্তায় লাশ ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। তার ফুফী ও ফুফাতো ভাই এ হত্যার জন্য দায়ী করে তার বাবা। কিন্তু আসল ঘটনা উদঘাটন করলো র‌্যাব-১৫।