সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপু অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কৃত্রিম হাত-পা অনুদান দিল ব্র্যাক

সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপু অগ্নিকাণ্ডে হতাহতদের কৃত্রিম হাত-পা অনুদান দিল ব্র্যাক
সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপু অগ্নিকাণ্ডে হতাহত নয়জনকে সহায়তা প্রদান করে ব্র্যাক। ছবি: সংগৃহীত

পোস্টকার্ড নিউজ ।।

সীতাকুণ্ডের বি এম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অঙ্গ হারানো এবং আহত ব্যক্তিদের কৃত্রিম হাত-পা এবং প্রেশার গার্মেন্টস প্রদানে সহায়তা দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। অঙ্গচ্ছেদ ঘটা এবং মারাত্মক আহতদের বিনামূল্যে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত লিম্ব অ্যান্ড ব্রেস সেন্টার (বিএলবিসি) এর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই সহায়তা প্রদান করে ব্র্যাকসহায়তা গ্রহণকারী নয়জন হলেন—খালেদুর রহমান, তুহিন হোসেন, আবদুস সামাদ, মারুফ হোসেন, মনির হোসেন, নুরুল আক্তার, রবিন মিয়া, হৃদয় হোসেন এবং হজরত আলী।

আয়োজকেরা জানান, সীতাকুণ্ড অগ্নিকাণ্ডে আহত হন ৪৫০ জনেরও বেশি। গুরুতর আহত ২৩ জনকে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই রোগীদের নিবিড় পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নয়জনকে চিহ্নিত করা হয় যাদের কৃত্রিম অঙ্গ এবং প্রেশার গার্মেন্টস সহায়তা প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন। ছবি: সংগৃহীত

সহায়তাপ্রাপ্তদের উদ্দেশে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, ‘ব্র্যাক আপনাদের পাশে দাঁড়াতে যা করেছে তা আসলে করার কথা ছিল আপনাদের নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর। দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে তেমন ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে আপনারা অগ্নিকাণ্ডে অঙ্গ হারানো মানুষ হিসেবে পরিচিত না হয়ে নিজের সক্ষমতায় আবার স্বনির্ভরতা অর্জন করবেন। এ জন্য ব্র্যাক সব সময় আপনাদের পাশে থাকবে।’

মানসম্পন্ন কৃত্রিম অঙ্গ উৎপাদন, সরবরাহ এবং ফিজিওথেরাপি সেবার প্রসার ঘটাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের (পিপিপি) আওতায় বৃহত্তর কার্যক্রম গ্রহণে ব্র্যাক ইচ্ছুক বলেও জানান তিনি।

দেশের অন্য হাসপাতালগুলোতেও এমন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে ব্র্যাককে আহত ও অঙ্গ হারানো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন।

ভয়াবহ এই ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তিদের এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে সাহায্য করার প্রত্যাশা নিয়েই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ব্র্যাকের স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচি (এইচএনপিপি) পরিচালক ডা. মোরশেদা চৌধুরী।

উল্লেখ্য, ব্র্যাক এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির যৌথ উদ্যোগে গত বছর ডিসেম্বরে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে একটি নতুন লিম্ব অ্যান্ড রেস সেন্টার স্থাপন করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মক আহত এবং অঙ্গ বিচ্ছেদ ঘটা ব্যক্তিদের জন্য কম খরচে উচ্চমানের কৃত্রিম হাত-পা সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা এর লক্ষ্য।

খালেদ / পোস্টকার্ড;