সীতাকুণ্ডের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কোন সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া

সীতাকুণ্ডের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কোন সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া

মোহাম্মদ মুসলেহ উদ্দীন।।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণ ছুটি দিয়েছে সরকার।সারাদেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগতারা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে তৃনমূলে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা দিন রাত ঝুঁকি নিয়ে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অসহায় ও কর্মহীন মানুষের জন্য। কিন্তুু তারা পাচ্ছেনা কোন সরকারী সহায়তা।

সুত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয়, জেলা, উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রকার দাপ্তরিক রির্পোট রির্টান প্রেরণসহ জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ, ও বতর্মান প্রেক্ষাপট প্রবাসীদের তালিকা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ সকল কাজ সুষ্ঠভাবে প্রণয়ন ও বিতরণ করছে ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তরা।

উদ্যোক্তরা জানান, করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে অন্যান্য জেলা/উপজেলায় সরকারিভাবে ব্যক্তিগত সামাজিক সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পেয়ে থাকে। কিন্তুু আমরা প্রতিদিন জনগণের দ্বারে দ্বারে সেবা প্রদান করে যাচ্ছি কিন্তুু আমাদের নেই সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিই)।

সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালক (উদ্যোক্তা) ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবদুস সালাম জানান, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা কাজ করে চলেছে। এক্ষেত্রে উপজেলার অনেক সরকারি দপ্তরে ছুটি থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে রাত জেগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ও ত্রানের তালিকা সহ যাবতীয় কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করছি। কিন্তুু আমরা পাচ্ছিনা সরকারি কোন সহায়তা।

উপজেলা সাধারন সম্পাদক মুরাদপুর ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালক (উদ্যোক্তা) গাজী মোঃ শহীদুল আলম বলেন, দেশের এই দুর্যোগ মুহূর্তে ঝুঁকি হলেও জনগণের সেবা দিয়ে যাবেন । সেবা প্রদানে কোনো ত্রুটি নেই তাদের। ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তাদের সার্বিক সুরক্ষা ও যাতায়াতের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের জরুরী ব্যবস্থা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।

সীতাকুণ্ড উপজেলার ডিজিটাল সেন্টার ফোরামের সাবেক সাধারন সম্পাদক বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এর উদ্যোক্তা উত্তম কুমার দে বলেন, বিনা পারিশ্রমিকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এ ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কোন আশার বানী পাইনি। আমাদের অনেকের বাড়ীতে খাবার নেই, বউ, বাচ্চা, মা, বাবা নিয়ে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি, পেটে খাবারের হাহাকার নিয়ে ত্রানের তালিকা, মাস্টার রোল, সহ সকল ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। তাই আমাদের প্রাণ প্রিয় অভিভাবক সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে সু নজর কামনা করছি।

সীতাকুণ্ড উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি সালা উদ্দিন রুবেল বলেন, গত মাসের ২৬-০৩-২০২০ ইং হইতে অদ্য দিন পর্যন্ত কোন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কোন প্রকার আয় নাই। এই পবিত্র রমজানে খুব কষ্টে দিনপাত করছেন উদ্যোক্তারা, লোক লজ্জায় কাউকে কিছুই বলতে পারছেনা, সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতর এই সামনের দিন কিভাবে কাটাবে সে নিয়ে চিন্তায় আছেন উদ্যোক্তারা । তাই সকল উদ্যোক্তাদের অভিভাবক সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের জন্য আহবান জানান।