সীতাকুণ্ড পুলিশের গাড়িতে ডাকাতের হানা, গ্রেপ্তার ১

সীতাকুণ্ড পুলিশের গাড়িতে ডাকাতের হানা, গ্রেপ্তার ১
সীতাকুণ্ড পুলিশের গাড়িতে ডাকাতের হানা, গ্রেপ্তার ১

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি ।।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মডেল থানার এস. আই হারুনুর রশিদ ও এস. আই সাজিব একটি কারে করে শনিবার রাতে বড় দারোগারহাট স্কেলের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়িটি যখন মহাসড়কের নুনাছরা বদ্দারপুল এলাকায় তখন হঠাৎ একদল ডাকাত তাদের কারটিকে যাত্রীবাহী সাধারণ মানুষের কার মনে করে এগিয়ে আসে। তারা কারটি থামানোর কৌশল হিসেবে কারটিতে একটি লোহার টুকরো ছুঁড়ে মারেন।

এময় পুলিশ সদস্যরা কার দাঁড় করালে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে ডাকাতরা কারের দিকে এগিয়ে আসে। কিন্তু কাছে এসে কারের ভেতরে পুলিশের পোশাকে দুই অফিসারকে দেখে তারা দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। এসময় এস.আই হারুন ও সাজিব দৌড়ে এক ডাকাতকে ধরে ফেললে দুইটি মোটর সাইকেল রেখে অন্যরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মোটর সাইকেল দুটিসহ গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত হক সাবকে (৩০) ধরে থানায় নিয়ে আসেন।

গ্রেপ্তারকৃত হক সাব চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার জোরারগঞ্জের নাসির মেম্বারের বাড়ির পাশের বাসিন্দা শাহআলমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলা ও জোরারগঞ্জ থানায় একটি ওয়ারেন্ট আছে।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত সীতাকুণ্ড থানার এস.আই হারুনুর রশিদ জানান, মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধ করতে আমরা রাতে ঐ এলাকায় টহল দিচ্ছিলাম। পুলিশের গাড়ি নিয়ে গেলে ডাকাতরা আগেই সরে যায়। তাই সিভিল গাড়ি নিয়ে টহলে গেলে ডাকাতরা ফাঁদে পড়ে। কিন্তু শিম ক্ষেতের ভেতর দিয়ে ৫ ডাকাত দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে একজন পেশাদার ডাকাতকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শীত এলেই রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিছু দুস্কৃতিকারী ডাকাতির চেষ্টা করে। এজন্য মহাসড়কে আমরা কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করি। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখেন। কিন্তু ঐ ডাকাতরা তা বুঝতে পারেনি। তারা পুলিশের গাড়িকে যাত্রীবাহি কোন কার মনে করে ডাকাতির চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তাদের অবস্থা হয় ‘পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে’। শেষে এস.আই হারুন ও এস.আই সাজিব ধাওয়া দিয়ে এক ডাকাত ও দুটি মোটর সাইকেল জব্ধ করে নিয়ে আসে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।