সীতাকুণ্ডে নিন্মমানের কৃষিযন্ত্র বিতরণ, সরকারি ভুর্তকির যন্ত্র অকৃষকের কাছে!

সীতাকুণ্ডে নিন্মমানের কৃষিযন্ত্র বিতরণ, সরকারি ভুর্তকির যন্ত্র অকৃষকের কাছে!
সীতাকুণ্ডে নিন্মমানের কৃষিযন্ত্র বিতরণ, সরকারি ভুর্তকির যন্ত্র অকৃষকের কাছে!

বিশেষ প্রতিবেদক ।।

সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মামুন । পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। কৃষক কিংবা কোন ধরণের কৃষি জমি না থাকলেও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তিনি পেয়েছেন সরকারি ৭০ শতাংশ ভুর্তকি মূল্যের দু' দুটি কৃষি যন্ত্র। আর এসব কৃষি যন্ত্র এলাকায় চড়া দামে ভাড়া দিয়ে তিনি চালাচ্ছেন জমজমাট ব্যবসা। শুধু তাই নয় কৃষিকে আধুনিকায়ন করে যান্ত্রিকিকরণের লক্ষ্যে সরকার ৭০ শতাংশ ভুর্তকি মূল্যে কেবলমাত্র কৃষকদের মাঝে এসব কৃষি যন্ত্র বিতরণের কথা বললেও মামুনের ক্ষেত্রে মানা হয়নি এসব কোন নিয়মই। এলাকার প্রভাবশালী, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার ভিত্তিতেই তাকে যন্ত্র দুটি দেয়া হলেও সেখানেও মোঃ মামুন করেছেন অবিনব জালিয়াতি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রভাব খাটিয়ে তিনি একটি কৃষি যন্ত্র নিয়েছেন নিজের নামে, অন্যটি নিয়েছেন কৃষির সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক না থাকা নিজের দোকানের কর্মচারী সাইফুল ইসলামের নামে ।

সরেজমিনে বুধবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর ইউনিয়নের মহানগর গ্রামে মামুন হোসেনের নামে বরাদ্দকৃত একটি ট্রাক্টর ও সাইফুল ইসলামের নামে বরাদ্দকৃত একটি পাউয়ার থ্রেসার (ধান মাড়াইকল) দেখতে যান এ প্রতিবেদক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তালিকা ধরে মুঠোফোনে কল করা হয় সাইফুল ইসলামকে। তার কথামতে তার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায় পাউয়ার থ্রেসারটি সাইফুল ইসলাম নয় পুরোপুরি মামুন হোসেনের নিয়ন্ত্রণে। মুঠোফোনে যিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি সাইফুল ইসলাম নন মোঃ মামুনই ।

কৃষি যন্ত্র বিতরণের তালিকায় সাইফুল ইসলামের নামে একটি পাউয়ার থ্রেসার বরাদ্দ দেয়া হলেও সাইফুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরের বদলে তালিকায় দেয়া হয়েছে মোঃ মামুনের মুঠোফোন নম্বর। অপরদিকে মোঃ মামুনের নামেও একই মুঠোফোন নম্বর দিয়ে একটি সিডারও (ট্রাক্টর) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ দুটি কৃষি যন্ত্রই বর্তমানে মামুনের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোঃ মামুন প্রকৃত কৃষক নয়। তবে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি বানিয়েছেন কৃষকদের কৃষি কার্ড। আর এ কার্ডকে পুঁজি করেই তিনি নিয়েছেন কৃষি যন্ত্র দুটি। শুধু তাই নয় পাউয়ার থ্রেসার পাওয়া সাইফুল ইসলামও কৃষক বা কৃষির সঙ্গে যুক্ত নন। মামুন হোসেনের একটি দোকানের কর্মচারী তিনি। যিনি পাউয়ার থ্রেসারটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

তবে শুধু মোঃ মামুন, সাইফুল নয় সীতাকুণ্ড উপজেলায় সরকারি ৭০ শতাংশ ভুর্তকি মূল্যে কৃষি যন্ত্র বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কৃষক না হয়েও এলাকার প্রভাবশালী, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই নিয়েছেন বেশিরভাগ কৃষি যন্ত্র।

সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় থেকে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭০ শতাংশ সরকারি ভুর্তকিতে বিতরণকৃত তালিকায় দেখা যায়, সৈয়দপুরের হাজারীহাটের মোঃ মহিউদ্দিন ও বড় দারোগারহাটের আবদুল আলিম পেয়েছেন একটি করে পাউয়ার থ্রেসার। সরেজমিনে মোঃ মহিউদ্দিনের পাউয়ার থ্রেসারটি দেখতে গেলে সেটি তার কাছে পাওয়া যায়নি। মোঃ মহিউদ্দিনের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে তালিকার সঙ্গে মেলালে বড় ধরণের অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মোঃ মহিউদ্দিনের এনআইডি নম্বরটি কৃষি অফিসের তালিকার সঙ্গে মেলা দূরের কথা তার এনআইডি কার্ডটি কম্পিউটার কম্পোজ করে দোকানে বানানো।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেয়া পাউয়ার থ্রেসার দেখতে চাইলে মোঃ মহিউদ্দিন অন্য একটি পাউয়ার থ্রেসার দেখিয়ে দেন। যেটির ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বরের সঙ্গে তালিকায় দেয়া ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর মিলেনি। এমন অসঙ্গতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মোঃ মহিউদ্দিন নিজ মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন ওই যন্ত্রটি কৃষি অফিসের দেয়া নয়। কৃষি অফিস থেকে দেয়া যন্ত্রটি তিনি অন্য এলাকায় ভাড়া দিয়েছেন।

অপরদিকে পাউয়ার থ্রেসার পাওয়া আবদুল আলিমকে অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তালিকায় দেয়া মুঠোফোন নম্বরটিও লাগাতার বন্ধ পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবদুল আলিমের নামে বরাদ্দকৃত পাউয়ার থ্রেসার শুরু থেকেই তার নিয়ন্ত্রণে নেই। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নিয়ে সেটি তিনি মোঃ মহিউদ্দিনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকার অন্যান্য কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, মোঃ মহিউদ্দিন একজন ধান মাড়াইকল ব্যবসায়ী। তার মালিকানায় অন্ততপক্ষে ৫ টি ধান মাড়াইকল রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ভুর্তকি মূল্যে নিয়েছেন আরও দুটি। যেগুলো তিনি এলাকায় ভাড়া দিচ্ছেন। এছাড়া এলাকায় তিনি সবার কাছে চাঁনমিয়া নামেই পরিচিত। তার নকল এনআইডি কার্ড ও দ্বৈত নামে বেশ সন্দেহের উদ্রেগ হয়।

কৃষক না হয়েও একাধিক কৃষি যন্ত্রের মালিককে নিয়ম লঙ্ঘন করে ভুর্তকির কৃষি যন্ত্র বরাদ্দ দেয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে প্রকৃত কৃষকের মাঝে।

এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলায় সরকারি ভুর্তকির এসব কৃষি যন্ত্র দুয়েকজন প্রকৃত কৃষককেও দেয়া হয়েছে। তবে এসব কৃষি যন্ত্রে বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ দেয়া হয়েছে নিন্মমানের। যা যন্ত্র পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অকেজো হয়ে পড়েছে। পাউয়ার থ্রেসারের স্টিয়ারিং নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাউয়ার থ্রেসারটি নিয়ে যেতে পারছেন না কৃষকরা। ঘনঘন পাউয়ার থ্রেসারের বেল্ট অকেজো হ্যে পড়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকেক।  

সীতাকুণ্ডে সরকারি ভুরতকির কৃষিযন্ত্র প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে, নিন্মমানের যন্ত্র বিতরণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ অকেজো হয়ে পড়ায় বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে কৃষককে। এছাড়াও পাউয়ার থ্রেসারে ৬ মাসের মাথায় দেখা দিয়েছে নানা রকম সমস্যা। সাধারণত ধান মাড়াইকল পাউয়ার থ্রেসারে ধান, চিটা ও খড় আলাদা আলাদাভাবে বের হওয়ার কথা থাকলেও এসব যন্ত্রে সেই সুবিধা শতভাগ পাচ্ছেন না কৃষক। অনেক ক্ষেত্রেই ধান ও খড় একসঙ্গে মিশে যাচ্ছে, কখনো কখনো হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ছে মেশিন। এতে মেশিন ব্যবহারে ভোগান্তিতে পড়ছেন কৃষকরা।

কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলা কৃষি অফিসের কথামতে নওগাঁর আলিম ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে সবকটি পাউয়ার থ্রেসার কিনে এনেছেন মোঃ মহিউদ্দিন। তবে যন্ত্রের গায়ে আলিম ইন্ডাস্ট্রিজ লেখা থাকলেও যন্ত্রগুলোর তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান চাচা-ভাতিজা ইন্ডাস্ট্রিজ। নতুন যন্ত্র হলেও দ্রুত সময়ে স্টিয়ারিং নষ্ট হয়ে পড়েছে। চাকা, স্টিয়ারিং, গিয়ারবক্স, বেল্টসহ দেয়া হয়েছে নিন্মমানের সব যন্ত্রাংশ।

কৃষকদের অভিযোগ উপজেলা কৃষি অফিসের গাফলতিতে পাউয়ার থ্রেসার কেনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাড়াই কল ব্যবসায়ী মোঃ মহিউদ্দিনকে। তার কারসাজিতে নওগাঁর আলিম ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে কম দামে পাউয়ার থ্রেসার কিনে দেয়া হয়েছে কৃষকদের।

অপরদিকে সরকারি ভুর্তকির এসব কৃষি যন্ত্রে উপকূলীয় এলাকা হিসেবে ৭০ শতাংশ ভুর্তকি দেয়া হয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলায় । তবে ৭০ শতাংশ ভুর্তকি সুবিধা পাননি কৃষকরা। পাউয়ার থ্রেসারে কৃষকরা জমা দিয়েছেন ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫'শ টাকা। কিন্তু যন্ত্র মূল্য ধরা হয়েছে তার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। সেই হিসেবে কৃষকের কাছ থেকে যন্ত্র মূল্যের ৭০ শতাংশ ভুর্তকি না দিয়ে আরও ৩০ হাজার টাকা বেশি আদায় করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কৃষি যন্ত্র বিতরণের সময় যন্ত্রের কাগজপত্র কৃষককে বুঝিয়ে দেননি উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা। বেশিরভাগ কৃষি যন্ত্রের ইঞ্জিন, চেসিস, মডেল নম্বর, কৃষকের মুঠোফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মিলেনি। এমনকি এক যন্ত্রের নম্বর প্লেট পাওয়া গেছে অন্য যন্ত্রে। যন্ত্রের গায়ে লেখা কোম্পানির নাম, যন্ত্রের কালারেরও মিল পাওয়া যায়নি তালিকার সঙ্গে।

তাছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তালিকায় সব পাউয়ার থ্রেসারের ইঞ্জিন নম্বর একই দেখানো হয়েছে। নিয়মানুযায়ী এক এলাকার কৃষি যন্ত্র অন্য এলাকায় নিতে হলে উপজেলা কৃষি অফিসারের লিখিত অনুমতি নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোন নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। কৃষি অফিসারের অনুমতি ছাড়াই সীতাকুণ্ড এলাকার কৃষি যন্ত্র ভাড়ায় যাচ্ছে অন্য এলাকায়।

সৈয়দপুর ইউনিয়নে পাউয়ার থ্রেসার পাওয়া কৃষক মোঃ মুছা বলেন, পাউয়ার থ্রেসার নেয়ার পরপরই এটির বেল্ট অকেজো হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ১০ জোড়া বেল্ট কিনতে হয়েছে। অথচ নিয়মানুযায়ী একটি বেল্ট দিয়ে ২ সিজনে ধান নেয়া যায়। এছাড়া গুদামপঁচা চাকা দেয়া হয়েছে। স্টিয়ারিং নষ্ট হয়ে গেছে যন্ত্র আনার কিছুদিন পর। এখন মেশিন স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। সরকার কৃষিকে যান্ত্রিকিকরণ করার লক্ষ্যে এসব যন্ত্র দিলেও নিন্মমানের হওয়ায় আমরা এগুলো ব্যবহার করে খুব একটা সুবিধা করতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, মেশিনের মালিকানা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমাদের দেয়া হয়নি। হাইওয়ে পুলিশ একদিন মেশিন থানায় আটক করে। বহু কষ্টে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের দিয়ে ছাড়িয়েছি।

একই কথা বলেন, কৃষক কেফায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল স্টিয়ারিং ভালো দেয়া হবে। নিন্মমানের স্টিয়ারিং দেয়ার কারণে এখন মেশিনটি চালানো যাচ্ছে না। এছাড়া চাকাগুলো অত্যন্ত নিন্মমানের। একটি মেশিনে একটি বেল্ট লাগালে বহুদিন স্থায়ী হওয়ার কথা। অথচ এ মেশিনে বেল্ট দিলেই টিকছে না। বড় দারোগারহাটের কৃষক আব্দুর রউফ বলেন, সীতাকুণ্ডে সরকারি ভুতকির কৃষিযন্ত্র প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে, নিন্মমানের যন্ত্র বিতরণ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ গুদামপঁচা চাকা দিয়ে পাউয়ার থ্রেসার দেয়া হয়েছে। নতুন চাকা লাগাতে প্রায় ১৫ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ সরকারি ভুর্তকি মূল্যের কৃষি যন্ত্র বিতরণের পর আর কোন তদারকি করেননি কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন, যারা যন্ত্র পেয়েছেন তারা কৃষক নয় এ কথা সঠিক নয়। সরকারি হিসেবে আপনি আমি সবাই কৃষক। তার দৃষ্টিতে সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্যও একজন কৃষক। সুতারাং এ দৃষ্টি থেকে যেকেউ চাইলে এসব যন্ত্র নিতে পারবে। কৃষকের উপকার হলেই হবে। বিতরণকৃত কৃষি যন্ত্র দেখভালের দায়িত্ব তার নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এসব দেখার দায়িত্ব আমার নয়। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তালিকা দেখে বিতরণ করা। সরকারি ভুর্তকির টাকা আমরা পরিশোধ করেছি। আমার অফিস থেকে যন্ত্র নিতে কোন ঘুষ দেয়া হয়েছে কিনা সেটি বিবেচ্য বিষয়। কে নিয়েছে সেটি বড় কথা নয়। কৃষক নয় এমন ব্যক্তিকে কেন সরকারি ভুর্তকির কৃষি যন্ত্র দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা হোক ব্যবসাতো একটা করছে। কিছু একটা করেইতো সে চলছে। এই এলাকার কৃষির কাজে আসছেতো যন্ত্রগুলো। তালিকায় ইঞ্জিন নম্বর ও কৃষকদের এনআইডি মিল না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব হয়তো টাইপিং মিসটেক। যা ভুল হয়েছে তা আমরা ঠিক করে নিব। এসময় তিনি এ প্রতিবেদকের সামনে সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ডেকে অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তারা কেউই সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আক্তারুজ্জামান বলেন, শুধু কৃষক নয় যেকোন কৃষি উদ্যোক্তাও এসব যন্ত্র নিতে পারবে। এসময় তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন আমাদের দেশে কে কৃষক না বলেন? এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব। - চাটগা নিউজ । 

বিঃদ্রঃ প্রতিবেদনটি দীর্ঘ ১ মাসের অনুসন্ধানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যার সকল প্রমাণ (ছবি, অডিও ও ভিডিও) আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;