সীতাকুণ্ডে আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ৮ লক্ষ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করে রেহাই
পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।
সীতাকুণ্ডের আনসার ভিডিবির এক প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে এক প্রশিক্ষণার্থী যুবতী। শেষে সন্ধ্যায় বিয়ের মাধ্যমে রেহাই পান প্রশিক্ষক।
জানা যায়, সীতাকুণ্ডে উপজেলা আনসার ভিডিপি প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন এম হাফিজুল করিম। এ সুবাধে প্রশিক্ষণে আসা এক তরুণীর সাথে সখ্যতা হয় তার। এরপর বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ঐ তরুণীকে। পরে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ঐ তরুণীর বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
বুধবার দুপুরে ওই তরুণী স্থানীয় কয়েকজন যুবক নিয়ে হাফিজুলের বিরুদ্ধে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন। উপজেলা কমান্ডেন্ট ঘটনাটি শুনে হাফিজুলকে একটি কক্ষে আটক করেন এবং জেলা কমান্ডারকে বিষয়টি জানান। এরপর জেলা কমান্ডার আশরাফ হোসেন সিদ্দিক এসে অভিযুক্ত হাফিজুল ও তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হাফিজুলকে দুইটি প্রস্তাব দেন। একটা হলো চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে ধর্ষণের মামলায় জেলে যাওয়া এবং অপরটি ঐ তরুণীকে বিয়ে করা। এসময় হাফিজুল অভিযোগকারী তরুণীকে বিয়ে করতে সম্মত হলে সন্ধ্যার দিকে জেলা কমান্ডারের উপস্থিতিতে উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসে কাজী ডেকে ৮ লক্ষ টাকা দেন মোহরে বিয়ের কাজ সম্পাদন হয়। তবে অভিযুক্ত হাফিজুল বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন সিনিয়য় কর্মকর্তা ও কমান্ডারকে দায়ী করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত একটি ঘটনা। যেটা কোনভাবেই আমি মানতে পারছি।
এদিকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় দায়ের করা জিডিতে হাফিজুল ওই নারীর নাম উল্লেখ না করে লিখেন, এক তরুণী তার ছবি ব্যবহার করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্ঠা করছে। আটক হাফিজুল বরিশাল জেলার বন্দর থানা এলাকার চাদপুর গ্রামের এম এ মজিদ খানের পুত্র।
সীতাকুণ্ড উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মুজিবর বহমান বলেন, তিন বছর পূর্বে আনসার প্রশিক্ষক হিসেবে সীতাকুণ্ডে যোগদান করেন কে এম হাফিজুল করিম। প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে প্রশিক্ষণার্থী ওই নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তারা। সম্প্রতি ওই নারী তাকে বিয়ে করতে বললে সে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। বুধবার দুপুরের দিকে ঐ নারী কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসে আসেন। তাদের কথা শুনার পর আমরা হাফিজুলকে একটি কক্ষে আটক করে রাখি এবং জেলা কমান্ডার স্যারকে বিষয়টি অবগত করি। বিকালের দিকে স্যার উপজেলা অফিসে এসে উভয়কে বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করেন। সর্বশেষ মেয়েটি বিয়ে হলে তার কোন অভিযোগ থাকবে না বললে এবং অভিযুক্ত হাফিজুল বিয়ে করতে রাজি হওয়ায় স্যারের উপস্থিতিতে কাজী ডেকে আমরা বিয়েটি সম্পাদন করেছি।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই নাছির। উদ্দিন ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পাই হাফিজুলকে একটি কক্ষে আটক করে রাখা হয়েছে। জেলা কমান্ডেন্ট আসার পর উভয়ে বিয়েতে সম্মত হলে উনারই উপস্থিতিতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।
খালেদ / পোস্টকার্ড ;