সীতাকুণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, রেড জোন ঘোষণার দাবি

সীতাকুণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, রেড জোন ঘোষণার দাবি
সীতাকুণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, রেড জোন ঘোষণার দাবি

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ।।

আশংকাজনকহারে সীতাকুণ্ডে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। গত তিন মাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৭২ জন। করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করার পরও অনেকেই আইসোলেশনে না থেকে রাস্তাঘাট ও হাট–বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে পরিস্থিতি দিন দিন আরো অবনতি হতে যাচ্ছে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের। এমন পরিস্থিতিতে সীতাকুণ্ড উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণার দাবি স্থানীয়দের।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র মতে, সীতাকুণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭২ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন চারজন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান ৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সীতাকুণ্ড মডেল থানায় কর্মরত ১৫ পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে একরামুল হক (৪৫) নামে এক পুলিশের এসআই মারা যান। আক্রান্তদের মধ্যে একজন ইন্সপেক্টর ইন্টেলিজেন্ট, চারজন সাব–ইন্সপেক্টর ও ৯ জন কনস্টেবল রয়েছেন। এ পর্যন্ত মডেল থানার মোট ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২৬ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে যার মধ্যে ১৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ শয্যার করোনা ইউনিট প্রস্তুত করে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, সীতাকুণ্ডে প্রথমদিকে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে তেমনটা লক্ষ্য করা যায়নি। এই সুবাদে অধিকাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বাজারসহ নানা অজুহাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকাশ্যে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হারাধন চৌধুরী বাবু বলেন, নমুনা পরীক্ষার পরই আমি খবর পাঠিয়ে অনেককে ঘরে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেননি। পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউনের দাবি জানান তিনি।

সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ব্যবসায়ী মো. বেলাল হোসেন বলেন, বাজারে লোক সমাগম বন্ধ করতে হলে সিএনজি অটোরিকশাগুলো চলাচল বন্ধ করতে হবে। এগুলো যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ লোক সমাগম বন্ধ হবে না।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, সলিমপুর থেকে চট্টগ্রাম শহর কাছে হওয়ায় সেখানকার মানুষ চট্টগ্রামে যাতায়াত করতে গিয়ে করোনা ছড়াচ্ছে। আর পৌরসদরে আক্রান্তদের অধিকাংশই বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসেছে।