শেয়ার কারসাজির কারণে কাট্টলী টেক্সটাইলসসহ চার প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তিকে আট কোটি টাকা জরিমানা

শেয়ার কারসাজির কারণে কাট্টলী টেক্সটাইলসসহ চার প্রতিষ্ঠান ও ২ ব্যক্তিকে আট কোটি টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

চট্টগ্রামের কাট্টলী টেক্সটাইলসসহ চারটি প্রতিষ্ঠান এবং দুই ব্যক্তিকে শেয়ার কারসাজি ও প্রচলিত নিয়ম কানুন না মানায় প্রায় আট কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই জরিমানা করে।

গতকাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত কমিশনের ৭৩২তম সভায় জরিমানার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপরোক্ত তথ্য জানানো হয়। বিএসইসি জানিয়েছে, কাট্টলী টেক্সটাইলস লিমিটেড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে উত্তোলন করা টাকা যথাযথ ব্যবহার করেনি। এবিষয়ে কোম্পানিটি কমিশনে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এমনকি এসংক্রান্ত জাল ব্যাংক বিবরণী কমিশনে দাখিল করেছে।

এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ লংঘন করেছে। এজন্য কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এক কোটি টাকা ও অন্যান্য পরিচালকদেরকে (স্বতন্ত্র ও মনোনিত পরিচালক ব্যতিত) ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে কমিশন। কাট্টলী টেক্সটাইলসকে মোট সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। উল্লেখ্য, কাট্টলী টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন মো. এমদাদুল হক চৌধুরী। এছাড়া শেয়ারধারী পরিচালক হিসেবে রয়েছেন- নাসরিন হক, মো. আনোয়ারুল হক চৌধুরী, মো. মোকাররম হক চৌধুরী, ওয়াদুদা সামরিনা ও সিফাত সাবরিনা।

অপরদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাসেম ড্রাইসেলের শেয়ার কারসাজিতে তিন প্রতিষ্ঠান ও দুই ব্যক্তিকে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কমিশন সভায় এসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে দেড় কোটি শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের আবেদন অনুমোদন করেছে। এই টাকা তারা কোম্পানির নতুন শেড, গণপ্রস্তাবের খরচ, ব্যাংকঋণ পরিশোধে ব্যয় করতে পারবে বলে জানানো হয়।