লাখো মানুষের ঢল চট্টগ্রামের জুলুসে , আধবেলা অচল চট্টগ্রাম

লাখো মানুষের ঢল চট্টগ্রামের জুলুসে , আধবেলা অচল চট্টগ্রাম

লাখো মানুষের ঢল নেমেছে চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে। শিশু কিশোরসহ নানা বয়সী মানুষে একাকার হয়ে গেছে চট্টগ্রামের রাজপথ। আখতারুজ্জমান ফ্লাইওভার, সড়কের দুই পাশ, ফুটওভার ব্রিজ, বাসাবাড়ির ব্যালকনি ছাদে শুধু মানুষ আর মানুষ। মুরাদপুর থেকে কাজীর দেউরী জুলুশে আসা ভক্তদের ভীড়ে চলছেনা কোন গণ পরিবহণ । যেদিকে চোখ যায় শুধু  পাঞ্জাবী টুপি পরিহিত মুসল্লিদের চোখে পড়ে।

রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নগরীর একাংশ হয়ে পড়ে স্থবির।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশিন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহের (মজিআ) নেতৃত্বে জুলুস বের হয় সকাল ১০টায়। মুরাদপুর পেরোতে লাগে ১ ঘণ্টা।

জুলুসের বিশেষ গাড়িতে হুজুর কেবলার সঙ্গে আছেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ হামেদ শাহ (মজিআ), আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উপদেষ্টা, পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক সুফি মিজানুর রহমান, আনজুমানের ভিপি মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল সেক্রেটারি মো. সামশুদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি সিরাজুল হক প্রমুখ।

গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার  বলেন, জামেয়া আহমদিয়া আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ থেকে শুরু হওয়া জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মিলিত হবে।

এর মধ্যে কাজীর দেউড়ি মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চে হুজুর কেবলা বক্তব্য দেবেন ও দেশের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করবেন। এরপর জুলুস মাদ্রাসা মাঠে ফিরবে। সেখানে আখেরি মোনাজাত হবে।

জশনে জুলুসে চলাকালে অচল চট্টগ্রাম

 

ব্যাপক জনসমাগমে জশনে জুলুস জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিলো আজ। সকাল থেকে অক্সিজেন, বহদ্দার হাট, নতুন ব্রীজ, নিউ মার্কেট,টাইগারপাস, জিইসি মোড় সব এলাকায় রাস্তার দুপাশে মানুষ নেমে আসে।ফলে চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসে অচল হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম।

সকাল ৯টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত(দুপুর দেড়টা) নগরীর বহদ্দারহাট থেকে টাইগার পাস পর্যন্ত এলাকায় চলেনি বাস। অন্যান্য গণপরিবহণও খুব একটা চলতে দেখা যায়নি। কিছু সিএনজি অটো রিকসা আর প্রাইভেট কার চললেও রাস্তায় মুসল্লির ঢলে বাধা পড়েছিলো গতি,ফলে রাস্তায় দাড়িঁয়ে থাকতে বাধ্য হয়।এমনকি ফ্লাইওভার গুলোতেও বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

আখতারুজ্জমান ফ্লাইওভার, সড়কের দুই পাশ, ফুটওভার ব্রিজ, বাসাবাড়ির ব্যালকনি ছাদে শুধু মানুষ আর মানুষ।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের সাজ্জাদানশিন আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহের (মজিআ) নেতৃত্বে জুলুস বের হয় সকাল ১০টায়। মুরাদপুর পেরোতে লাগে ১ ঘণ্টা।

এরপর  জুলুসটি বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, প্যারেড কর্নার, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড়, প্রেসক্লাব, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, মুরাদপুর হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠের উদ্দেশে্য যায়।

এর মধ্যে কাজীর দেউড়ি মোড়ে অস্থায়ী মঞ্চে হুজুর কেবলা বক্তব্য দেন ও দেশের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন।

কাজীর দেউরী মোড়ে জুলুসটি আসলে জামালখান মোড় থেকে লালখান বাজার, ওয়াসা, এনায়েতবাজার পর্যন্ত মানুষের ভীড় ছাড়া কিছুই দেখা যায়নি।

কাজির দেউড়ি মোড়ের মোনাজাত শেষে হুজুর কেবলার গাড়িটি  জামেয়া মাদ্রাসার উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করলে এসব এলাকায় মানুষের ভীড় কিছুটা কমে আসে।

উল্লেখ্য ভোর থেকে নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক ও বাসে করে হাজার হাজার মানুষ জুলুসে যোগ দিতে আসেন। গাড়ি গুলো হুজুর কেবলার গাড়ির সাথে নগরীর বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। অবশ্য বেশ কিছু গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করে রাখতে দেখা যায়।