রোপা আমনের চারায় ফাটল, তাপদাহে পুড়ছে সীতাকুণ্ডের কৃষকের কপালবিভিন্ন

রোপা আমনের চারায় ফাটল, তাপদাহে পুড়ছে সীতাকুণ্ডের কৃষকের কপালবিভিন্ন

বিশেষ প্রতিবেদক ।। 

সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন জমির রোপা আমনের চারায় ফাটল দেখা দিয়েছে । পাশাপাশি মৌসুমি ও বারোমাসি সবজি খেতে ফাটল । তীব্র তাপদাহে পুড়ছে যেন সীতাকুণ্ডের কৃষকের কপাল। একদিকে তীব্র পানি সংকট অন্যদিকে অত্যাধিক তাপদাহে রোপণ করা রোপা আমনের চারায় ফাটল ধরেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বীজতলা । উপজেলার প্রায় মাঠের চিত্রই একইরকম।  

উপজেলার একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, অত্যাধিক তাপদাহে ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নদী–নালাগুলোয় পানি থাকার কথা থাকলেও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। গত বছর আগস্টের পর থেকে  নিয়মিত বৃষ্টি না হওয়ায় এ অবস্থা বলে জানান তাঁরা । আর তাই জমির ধান নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। মৌসুমের আবাদ এখন অনিশ্চিত।

বাড়বকুন্ডের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, একদিকে তীব্র পানি সংকট অন্যদিকে অত্যাধিক তাপদাহে আমরা বিপর্যস্ত । যদি গভীর নলকূপ থেকে পানি সেচ করে চাষাবাদ করতে চায়, তাহলে খরচ বেড়ে যাবে। ঘন ঘন সেচ আর অতিরিক্ত খরচ করে চাষাবাদের ফলাফল শূন্য।

অনেক কষ্টে মাঠের পাশে একটি ডোবা থেকে পানি সেচে আড়াই বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায় রোপণ করা ধান গাছগুলো পুড়ে গেছে। বৃষ্টি না হলে এবার আর ধান হবে না। শুধু একজন–দুজন নয়, প্রায় সবার খেতেই একই অবস্থা। এ বছর পানির অভাবে অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করতে পারেননি। একই কথা জানিয়েছেন স্থানীয় মৌসুমি ও বারোমাসি সবজি উৎপাদনকারীরাও। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবীবুল্লাহ বলেন, এ সময় রোপা আমনের চাষ মূলত বৃষ্টির পানির উপর নির্ভর করে করা হয়। গত এক মাস ধরে এ অঞ্চলে বৃষ্টি নেই। খাল–বিলগুলো শুকিয়ে রয়েছে। তাই এ দুর্যোগ মোকাবিলায় বৃষ্টি আসা ছাড়া উপায় নেই।