মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে বসানো ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা নিতেন লোকমান

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে বসানো ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা নিতেন  লোকমান
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে বসানো ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা নিতেন লোকমান
ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে বসানো ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা নিতেন ক্লাবটির ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ক্যাসিনোটি পরিচালনা করতেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক ওরফে সাঈদ কমিশনার।
 
বৃহস্পতিবার র‌্যাব-২ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
 
তিনি জানান, মোহামেডান ক্লাব পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একটি রেজ্যুলেশন করে ক্যাসিনোর জন্য কক্ষ ভাড়া হিসেবে এই টাকা নেওয়া হতো। তবে ক্যাসিনো থেকে পাওয়া টাকার প্রায় পুরোটাই ভোগ করতেন লোকমান।
 
বুধবার রাতে রাজধানীর মণিপুরীপাড়ার বাসা থেকে লোকমানকে আটক করে র‌্যাব-২। এ সময় তার বাসা থেকে ৬ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব-২ কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
 
লোকমানের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে র‌্যাব জানিয়েছে।
 
ক্যাসিনোবিরোধী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে ক্লাব ও বারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে লোকমানের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
 
জানা গেছে, লোকমান একসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদস্য হওয়ায় তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিরক্টের ইনচার্জ পদটিও দখল করে রেখেছেন। সরকারের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্রছায়ায় তিনি নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন বলে অভিযোগ আছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, লোকমানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এএনজেড ও কমনওয়েলথ ব্যাংকে লোকমানের ৪১ কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন। এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
 
র‌্যাব সদস্যদের ধারণা, ক্যাসিনো থেকে আয় করা অর্থ লোকমান নিয়মিত বিদেশে পাচার করতেন। লোকমানের পাশাপাশি মোহামেডান ক্লাব পরিচালনা কমিটির আর কেউ এতে জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।