মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ পর্যটক নিহত, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ পর্যটক নিহত, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
মিরসরাইয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ পর্যটক নিহত, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি

মিরসরাই প্রতিনিধি।।

মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরণা দেখে মাইক্রোবাসে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় ১১ পর্যটক নিহত হয়েছেন। মাইক্রোবাসটিকে ঠেলে এক কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে নিয়ে যায় মহানগর প্রভাতী নামের ট্রেনটি। অন্যদিকে ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা পৌনে ১টার পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরণা এলাকার রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাসযোগে খৈয়াছড়া ঝরণা দেখতে আসেন মাইক্রোবাসের চালকসহ ১২ যুবক। ঝরণা দেখা শেষে বেলা পৌনে ১টার দিকে ফেরার পথে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। আরেকজন আহত হন। আহতকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথম স্থানীয় একটি হাসপাতাল পাঠায়। পরে সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দুর্ঘটনার পরপরই মিরসরাই থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার জানান, মহানগর প্রভাতী নামে ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি মাইক্রোবাসটিকে ১ কিলোমিটার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।  

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) লাবিব আব্দুল্লাহ জানান, মাইক্রোবাসে থাকা ১১ যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আহত ১ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে তারা সকলেই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার  আমান বাজার এলাকা থেকে ঝরণা দেখতে এসেছিলেন।

দুর্ঘটনার পর থেকে এ রিপোর্ট লেখার সময় বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিলো।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জিআরপি পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) খোরশেদ আলম জানান, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি কেটে কেটে লেন থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

এদিকে ১১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলীকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরের দুর্ঘটনার পর এই কমিটি গঠন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমিটির প্রধান ও বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী। তিনি বলেন, এ ঘটনা কেন ঘটেছে এবং কার দায় রয়েছে, তা জানতে কমিটি কাজ করবে। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, রেলের বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল হামিদ, বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তবে অন্য দুই কর্মকর্তার নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

খালেদ / পোস্টকার্ড ;