মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে 'প্রবীণ ব্যক্তি’ 

মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে 'প্রবীণ ব্যক্তি’ 

পোস্টকার্ড ডেস্ক ।।

দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক ফ্রেডি ব্লম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১১৬ বছর। তিনি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত ।

ব্লমের পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ইস্টার্ন কেইপ প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯০৪ সালের মে মাসে তবে গিনেজ বুক অভ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কখনই বিষয়টি সত্যায়িত করেননি।

১৯১৮ সালে ব্লমের বয়স যখন ১৪ বছর তখন স্পেনিশ ফ্লু মহামারীতে তার পরিবারের অন্য সব সদস্যের মৃত্যু হয়।

ব্লম দু’টি বিশ্বযুদ্ধ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ পরিস্থিতির মোকাবিলা করেও দীর্ঘজীবন পার করেছেন। 

২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তার দীর্ঘজীবনের পেছনে বিশেষ কোনো গূঢ় রহস্য নেই।

তিনি বলেছিলেন, “একটিমাত্র বিষয় আছে, সেটি হচ্ছে উপরে যে লোকটি (খোদা) আছে তিনিই সর্বশক্তিমান। আমার কিছু নেই। আমি যেকোনো সময় মরে যেতে পারি কিন্তু তিনি আমাকে ধরে রেখেছেন।”
জীবনের বেশিরভাগ সময় ব্লম শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রথমে কৃষি শ্রমিক ছিলেন পরে নির্মাণ শিল্প শ্রমিক হিসেবে কাজ করে বয়স ৮০ পেরোনোর পরই কেবল তিনি অবসরে গিয়েছিলেন।

পানের অভ্যাস বহু বছর আগে ত্যাগ করলেও তিনি নিয়মিত ধূমপান করতেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার করোনাভাইরাসজনিত লকডাউন জারি করার পর ব্লম তার ১১৬তম জন্মদিনে তামাক কিনে নিজেই নিজের সিগারেটটি বানিয়ে নিতে পারেননি বলে জানা গেছে।

ব্লমের পরিবার জানিয়েছে, শনিবার কেইপ টাউনে স্বাভাবিকভাবেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ব্লমের পরিবারের মুখপাত্র আন্দ্রে নাইডু আন্তর্জাতিক এক বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, “দুই সপ্তাহ আগেও ওউপা (দাদা) কাঠ কাটতেন। তিনি শক্তিশালী, গর্বে পরিপূর্ণ একজন মানুষ ছিলেন।”

কিন্তু তার দাদা কিছুদিনের মধ্যেই ‘বড় একজন ব্যক্তি থেকে সঙ্কুচিত হয়ে ছোট একজন মানুষে’ পরিণত হয়েছিলেন বলে জানান তিনি।

নাইডু জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের বিশ্বাস তার দাদার মৃত্যুর সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনো সম্পর্ক ছিল না।